পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাধারণত এই বৈঠকে জেলায় চলা বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কোনও প্রকল্প কোথাও বাধা পাচ্ছে কি না বা কেন বাধা পাচ্ছে সেনিয়েও আলোচনা হয়। তবে, আজ বুধবার অন্য একটি কর্মসূচি থাকায় ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ থাকলেও যেতে পারব না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পর এই প্রথম সংসদ সদস্য সহ সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উন্নয়নমূলক বৈঠকে বসছে প্রশাসন। সাধারণত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি তৈরি হয়। লোকসভা ভোটের পর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তা করা হয়। আজ, বুধবারের বৈঠকে সেই কমিটিও গঠন করা হবে। যদিও পদাধিকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়। সেই কমিটি এবার ফের গঠন করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই সংসদ সদস্যের পাশাপাশি জেলার সব বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ছ’টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য প্রশাসনের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সব দপ্তরের আধিকারিকরা ওই বৈঠকে থাকবেন। আজ, বুধবার সিউড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ওই বৈঠক করা হবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেটর কমিটির বৈঠকের পর জেলার পাঁচটি করে পঞ্চায়েতের প্রধানদের আলাদাভাবে ডাকা হবে। পরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে এলাকার সমস্যা শোনা হবে। সেইমতো প্রকল্পগুলির কাজ করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকারের তরফে বরাদ্দ দেওয়া প্রকল্পগুলির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। জেলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি কেমনভাবে চলছে তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। তাই বুধবারের বৈঠক উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন। এক আধিকারিক বলেন, পঞ্চায়েতের পাশাপাশি পুরসভা এলাকাতেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প চলে। তাই উভয় সরকারের কাজের গতি সহ হাল হকিকত জানা হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জেলায় জেলায় ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার সংসদ সদস্য, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের ডাকা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় রাস্তা-ঘাট, জল, আলো প্রভৃতি বিষয়ের উপর ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। এছাড়া মহাত্মা গান্ধী কর্মসুনিশ্চয়তা প্রকল্প, এনআরএলএম, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা বা বাংলা সড়ক যোজনা, স্মার্ট সিটি মিশন, মিডডে মিল, আইসিডিএস, বিপিএল তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের এলপিজি সংযোগ, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা সহ টেলিকম, রেলওয়ে, হাইওয়ে, জলপথ, মাইনস প্রভৃতি বিষয়ের উপর সবিস্তারে আলোচনা করা হবে। জেলায় চলা এরকম কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্পের বাস্তবায়নের কী অবস্থা তা নিয়েই মূলত এই বৈঠক করা হবে। বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের তরফে দেওয়া উন্নয়নমূলক প্রস্তাবগুলিও গৃহীত হবে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। ফলে, আজ বৈঠকে শাসক দলের পাশাপাশি বীরভূমের বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদেরও এই বৈঠকে দেখা যেতে পারে।