কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নদীয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো ঐতিহ্যমণ্ডিত। বহু মানুষের আবেগ ভালোবাসা এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে আরও একটু উৎসাহিত করতে এবার সেরা পুজো বা প্রতিমা, ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা যাদের সেরা হবে তাদের পুরষ্কৃত করা হবে। ঠিক কী কী বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও একটু আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকার যেমন শারদ সম্মান দেয়, সেই ধাঁচেই আমরা এবার পুরস্কার দিতে চাইছি।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল। বর্তমানে দুর্গা বা কালীপুজো নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারা। কৃষ্ণনগর শহরে কমবেশি ১৫০টি পুজো হয়। এই পুজো এতটাই জনপ্রিয় যে, এই সময় সব গৃহস্থ বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের সমাগম হয়। হোটেল লজগুলিতে ঘর পাওয়া দায় হয়ে ওঠে। আলোকসজ্জা থেকে মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা, বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা দেখার জন্য দু’দিন শহরে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ।
জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে পুজো কমিটিগুলি খুশি। বুড়িমার চাষাপাড়া বারোয়ারি সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলছেন, কৃষ্ণনগরের পুজো খুবই সুন্দরভাবে হয়। এই পুজো ঐতিহ্যমণ্ডিত। পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা হলে পুজো কমিটিগুলি আরও উৎসাহিত হবে। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। জেলা পরিষদের এই সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত খুশি। আর এক পুজো কমিটি মেজমা কলেজ স্ট্রিট বারোয়ারির পক্ষে তরুণকুমার হালদার বলেন, এরকমভাবে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। আমরা আশাবাদী, এর ফলে কৃষ্ণনগরের পুজোর জৌলুস আরও কিছুটা বাড়বে। নিজেদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য আমরা সবাই আরও আটঘাট বেঁধে মাঠে নামব।
অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর জেলা পুলিসের সঙ্গে কালীপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে কমিটিগুলির সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ডিজে ব্যবহার না করার ব্যাপারে সব কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনও রকম লাঠি বা রডের ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। বাজির উপরেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী নিয়ম বলবৎ হচ্ছে। শব্দবাজির ব্যবহার কোনও কমিটিই যাতে না করতে পারে সে ব্যাপারে পুজো কমিটিগুলিকে বারংবার সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি মণ্ডপেও দমকলের নির্দেশ মেনে সমস্ত কিছু করতে হবে। বেরনো বা ঢোকার জন্য আলাদা গেট রাখতে হবে। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এটা একটা সমন্বয় বৈঠক। প্রতিবারই হয়। পুজো কমিটিগুলির কর্তারা সবই জানেন। আমরা তাও বেশ কিছু বিষয় ওদের আবার মনে করিয়ে দিয়ে থাকি। তবে ডিজের ব্যবহার যাতে কোনওভাবেই না হয়, সেটা আমরা এবার বার বার বলা হয়েছে।