পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার গাফিলতির জন্য শহরজুড়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নর্দমা সময়মতো পরিষ্কারই হয় না। অপরিচ্ছন্ন নর্দমা ও আবর্জনার ভ্যাট থেকে পতঙ্গবাহিত রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে। পরিষ্কার না হওয়ায় নর্দমার জমা জল থেকে মশা মাছির উপদ্রব ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে। সিটি সেন্টার, ক্ষুদিরামনগর উদ্বাস্তু কলোনি, সুকান্ত কলোনি এলাকা, দুর্গাচক টাউনের বিভিন্ন ওয়ার্ড, হাজরামোড় এলাকায় শহরের নর্দমাগুলি বছরে একবারও পরিষ্কার হয় না বলে বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নর্দমাগুলি প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন আবর্জনায় বুজে গিয়েছে। রাস্তার পাশের আবর্জনার ভ্যাটগুলি উপচে পড়লেও সময়মতো পরিষ্কার হয় না। পুরসভা কার্যালয়ের সামনে বিশাল সুভাষ সরোবর কচুরিপানা ও শ্যাওলায় মজে যাওয়ায় মশা মাছির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টার এলাকার প্রধান নিকাশি নালাও প্লাস্টিক ও থার্মোকলে বুজে গিয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে পুরসভা সতর্ক রয়েছে। পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতেই বোর্ড মিটিংয়ে সমস্ত কাউন্সিলারকে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক। ইতিমধ্যেই পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর সমস্ত ওয়ার্ডের সাফাইকর্মী ও সুপারভাইজারদের ডেকে বৈঠক করে বিশেষ সাফাই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেই কাজ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার জমা জল সরানো, রাস্তার পাশের ঘাস ও জঙ্গল সাফাই, নর্দমা পরিষ্কার ও মশা মারার কামান দাগার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু সহ পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকাতে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শহরের ১৫৭টি বুথে মশার তেল ছড়ানোর জন্য হ্যান্ড স্প্রেয়ার দেওয়া হবে। এজন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একবার তেল স্প্রে করা হবে। বর্তমানে প্রতি ওয়ার্ডে একটি বা দু’টি করে এই ধরনের স্প্রে মেশিন রয়েছে। ডিজেলচালিত মশা মারা কামান রয়েছে ৭টি। পুরসভা পরিকল্পনা করছে, কয়েক লক্ষ টাকা দামের ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক কামান কেনার। এই মেশিন গাড়িতে চাপিয়ে স্প্রে করতে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েজ এমপ্লয়মেন্ট স্কিমে হলদিয়া পুরসভায় ন’শোর বেশি সাফাইকর্মী কাজ করেন। কিন্তু, পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের এলাকা বিশাল হওয়ায় পুর এলাকজুড়ে সাফাইয়ের কাজের সঠিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই শহরজুড়ে এত আবর্জনা এবং ড্রেনগুলি অপরিষ্কার।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক বলেন, শহরকে সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে এবার সাফাই কাজে পুরসভায় বসেই স্যাটেলাইট নজরদারি চালানো হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবর্জনা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য প্রতি ওয়ার্ডে কংক্রিটের ভ্যাট স্ট্যান্ড তৈরি করা হবে বলে পুরবোর্ডে সিদ্ধান্ত হয়েছে।