বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে জেলার বেশ কিছু ব্লকে সংখ্যালঘুরা বিজেপির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছিল। কিন্তু, এনআরসি ইস্যুতে জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। রাত জেগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন সরকারি অফিসগুলিতে ভিড় করতে থাকেন। সেকারণে অনেকে আতঙ্কেই বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় লালবাগ, জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ এবং বহরমপুরের মতো কিছু এলাকায় গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু, এনআরসির জেরে জেলায় তৈরি হওয়া আতঙ্ক তাদের কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। জেলায় প্রায় ৫হাজার ৪০০টি বুথ রয়েছে। বুথগুলিতে এখনও কংগ্রেস তাদের সংগঠন কিছুটা হলেও ধরে রেখেছে। সব বুথেই তৃণমূলের সংগঠন রয়েছে। কিন্তু, বিজেপি লোকের অভাবে বহু জায়গায় কমিটি গঠন করতে পারেনি। তাই এই জেলায় তারা বিধানসভা নির্বাচনে খুব বেশি আশার আলো দেখছে না। তিন-চারটি বিধানসভা কেন্দ্রকে সামনে রেখে তারা ঝাঁপ দেবে।
লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপি জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকায় এগিয়ে রয়েছে। সেকারণে বিজেপি নেতৃত্ব জিয়াগঞ্জে সপরিবারের শিক্ষক খুনের ঘটনা সামনে রেখে পায়ের তলার মাটি আরও মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে দলেরই অনেকে মনে করছেন। যদিও জেলার নেতারা এই বিষয়টিকে নিয়ে সেভাবে ময়দানে নামেনি। কোনও ব্যানার ছাড়া তারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুধুমাত্র মিছিল করেছিল। এছাড়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আর কোনওভাবে সরব হয়নি। দলের এক নেতা বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ছিল। সেকারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইনি। পুলিসের দাবি, খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। স্রেফ ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ওই ঘটনা হয়। তাছাড়া শিক্ষকের সঙ্গে আরএসএসের যোগ পাওয়া যায়নি।
বিজেপির অনেকেই মনে করছেন, সব জায়গায় বুথ কমিটি গঠন না হওয়ায় সাংগঠনিক কাজ করতে বেগ পেতে হবে। বুথের পর মণ্ডল কমিটি গঠনের কাজ চলছে। তারপর সভাপতি নির্বাচন হবে। এবার জেলায় সভাপতি বদল নিয়ে দলের অন্দরমহলেই জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। তবে তার আগে সব জায়গায় বুথ কমিটি গঠন করতে না পারার জন্য জেলা নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। দলের অপর এক নেতা বলেন, জেলার অনেক ব্লক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। যেসব বুথগুলিতে ৯০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে সেখানে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার অবশ্য বলেন, আগের তুলনায় জেলায় আমাদের সংগঠন অনেক শক্তিশালী। এবার না হলেও আশা করা যায়, আগামী দিনে সব বুথেই কমিটি গঠন সম্ভব হবে।