পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, শুভেন্দুবাবু পরিবহণের সুবিধার জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করেছেন। জেটি তৈরির দাবি জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের ছিল। তিনি সেই দাবি মেটানোরও আশ্বাস দিয়েছেন। কোন কোন ঘাটে জেটি তৈরি হবে তা আমরা দু’দিন আগে বসে আলোচনা করেছি। এই জেলায় প্রতিদিনই বহু মানুষকে গঙ্গা বা ভাগীরথী পেরতে হয়। জেটি না থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চ বা নৌকায় যাত্রীরা ওঠেন। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, আমরা ২০টি ঘাটে জেটি তৈরির জন্য আবেদন করেছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইফ জ্যাকেট পরার জন্য বেশ কয়েকবার যাত্রীদের সচেতন করা হয়েছে। বহরমপুর এবং জিয়াগঞ্জের ঘাটগুলিতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নদী পার হন। আগামী দিনে এই ঘাটগুলিতে যাত্রীরা যাতে জ্যাকেট পরতে বাধ্য হন তারজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়দের দাবি, অনেক নৌকা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। তারা অতিরিক্ত যাত্রী তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনও নিয়ে যায়। তারফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই বিষয়টির দিকেও প্রশাসনকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ফেরিঘাট তৈরির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই কাজ শুরু হবে। জেলা পরিষদ জেলার বিভিন্ন নদী ঘাটগুলি দেখভাল করে। অর্থ বরাদ্দ হলে তারাই কাজ করবে। এক আধিকারিক বলেন, সব ঘাটে জেটি তৈরির ইচ্ছা থাকলেও তা করা যাবে না। কিছু ঘাটে খুব কম সংখ্যক যাত্রী পারাপার করেন। সেসব ঘাটে বিপুল টাকা খরচ করে জেটি তৈরি সম্ভব নয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, আমাদের সরকারের আমলে জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে। ডোমকল, জলঙ্গির মতো রুটেও সরকারি বাস চলছে। এবার জলপথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেশি উন্নত করার পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রী নিয়েছেন। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা জেটি তৈরির কাজ শুরু করতে পারব। বহরমপুর সহ জেলার অন্য প্রান্তের বাসিন্দারা বাম আমল থেকে জেটি তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন। আমাদের সরকার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে।