কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোড়ামহাল গ্রামের রেশন দোকান থেকে গোড়ামহাল এবং বরুণা গ্রামের সমস্ত উপভোক্তা এবং বাকচা ও খিদিরপুর গ্রামের আংশিক এলাকা মিলিয়ে মোট ৬০০০উপভোক্তাকে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। সোমবার ডিলারের ভগিনীপতি খুন হওয়ার পর তিনি রেশন দোকান সাময়িক বন্ধ রাখেন। কয়েকদিন পর রেশন দেওয়া হবে বলে উপভোক্তাদের জানিয়েছিলেন। তারপর বাকচার পরস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন থেকে আর দোকান খোলা যায়নি। এদিকে রেশন সামগ্রী এসে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তড়িঘড়ি রেশন সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা করতে এদিন স্বপন ভৌমিক বিডিও, থানার ওসি, ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। রেশন সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে বণ্টনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিন বিডিও অফিসে মিটিং চলাকালীন স্বপনবাবু জানান, সশস্ত্র পুলিসের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কোনও অবস্থাতেই গোড়ামহালে রেশন দোকান খোলা সম্ভব নয়। তাছাড়া সাধারণ মানুষজনও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাই ভয় কাটাতে সশস্ত্র পুলিস রেশন দোকানে রেখে রেশন সামগ্রী বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসন এবং খাদ্য দপ্তরের ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পুলিসি সুরক্ষায় রেশন সামগ্রী বিলি হবে বলে ঠিক হয়েছে। আগামী বৃহস্পতি কিংবা শুক্রবার থেকে দোকান খোলা হবে বলে স্বপনবাবু জানান। ফুড ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কথা বলে বিলির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বসুদেব মণ্ডল খুনের ঘটনায় মোট ২১জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। অভিযুক্তরা বেশিরভাগই এলাকার বিজেপিকর্মী হিসেবে পরিচিত। স্বপনবাবুর উদ্যোগে এফআইআর হয়েছে বলে সন্দেহ করেই তাঁকে টার্গেট করেছে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। গত শুক্রবার পুলিস বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় ভৌমিককে গ্রেপ্তার করে। ওই নেতাকে গ্রেপ্তারের পরই স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের রোষের মুখে পড়েছেন নিহত নেতার মেজ শ্যালক স্বপনবাবু।
কেলেঘাই নদীবাঁধের ধারেই স্বপনবাবুর বাড়ি। গোড়ামহাল এবং বরুণা গ্রামের সংযোগস্থলে তাঁর বাড়ি। এক সময় তিনি সিপিএম করতেন। তারপর সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০৫সালে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বোমায় তাঁর বাবার বাঁ হাত উড়ে যায়।