কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মেয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ের সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ওই মহিলা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। ওই মহিলার নাম মনা দে। ভাতার থানার খেড়ুর ছাতনি গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর হ্যান্ড ব্যাগের ভিতর একটি লাল রঙের মানিব্যাগে ছ’হাজার টাকা রাখা ছিল। মেয়ে বাইরে যাবে বলে বর্ধমান শহরে তাঁর কিছু কেনাকাটা ছিল। সেই কারণেই তিনি ওই টাকা নিয়ে এসেছিলেন। তার সঙ্গে কিছু খুচরো টাকাও ছিল। মেয়ের সার্টিফিকেটের জন্য তিনি হাসপাতালের ভিতরে ১১৪ নম্বর কাউন্টারে যান। সেখান থেকে তাঁকে ১১৮ নম্বর কাউন্টারে যেতে বলা হয়। তিনি ওই কাউন্টারে গিয়ে দেখেন, তাঁর ব্যাগের চেন খোলা। ভিতরে দেখেন, পুরো মানিব্যাগই উধাও। তারপরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিষয়টি ওই কাউন্টারের কর্মীদের জানান। তাঁরা তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে থাকা পুলিস ক্যাম্পে গিয়ে জানাতে বলেন। তিনি পুলিস ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরেই এক সন্দেহভাজন কিশোরকে আটকও করা হয়েছে।
রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বিপদে পড়ে এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে আসেন। সেই হাসপাতালের ভিতরে যদি এভাবে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে, তাহলে গরিব সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? রোগীর আত্মীয়ের দাবি, নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের ভিতরে প্রচুর সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এমনকী, লাইভ ফুটেজ দেখার জন্য আইপি বেসড ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কারণ, সাধারণ ক্যামেরায় লাইভ ফুটেজ দেখা যায় না। হাসপাতালের আধিকারিক এবং পুলিস অফিসাররা যে কোনও জায়গায় বসে তাঁদের মোবাইল ফোন থেকে ওই লাইভ ফুটেজ দেখতে পারবেন। তাই হাসপাতালের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই দুষ্কৃতীকে বা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। তাই তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এদিকে, মনা দে নামে ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মেয়ে নার্সিং ট্রেনিং করতে যাবেন। তার জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রয়োজন। সেই কারণেই আমি এদিন মেয়েকে নিয়ে এসেছিলাম। কেনাকাটার জন্য ছ’হাজার টাকা নিয়ে এসেছিলাম। এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে গিয়ে দেখি, ব্যাগের চেন খোলা। টাকা নেই। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, যা খুচরো ছিল তাও নিয়েছে। বাড়ি ফেরারও কোনও টাকা নেই। কীভাবে বাড়ি ফিরব জানি না। আমি এদিন হাসপাতালের ভিতরের পুলিস ক্যাম্পে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে এক পুলিস অফিসার বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।