কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, নারায়ণপুরে বন্ধ থাকা একটি পার্টি অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিস পাঠানো হয়েছিল। এনিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। লিখিত অভিযোগও হয়নি। এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রামে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ বলেন, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর নারায়ণপুর এলাকায় বিজেপির সন্ত্রাসের কারণে সেখানকার দলীয় কার্যালয় খোলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবে এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। মানুষ বিজেপির স্বরূপ বুঝতে পেরেছেন। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা উন্নয়নের প্রশ্নে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রাখছেন। এমনকী, তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা ভুল বুঝে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তাঁরাও পুনরায় দলে ফিরছেন। তাই এলাকায় সংগঠন আবার মজবুত হয়েছে। সেই কারণে দলে আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণপুরের রাধাবাজারে দলীয় কার্যালয়টি খোলার সিদ্ধান্ত হয়। তার আগেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর চালিয়েছে। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে।
বিজেপির পাত্রসায়র-১ মণ্ডল সভাপতি তমালকান্তি গুঁই বলেন, নারায়ণপুরে আমাদের দলের ভিত প্রচণ্ড মজবুত রয়েছে। ওখানে তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। তাই ওরা পার্টি অফিস খোলার মতো লোক পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে ওদের অফিসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জনসংযোগ না থাকায় ওরা হালে পানি পায়নি। তাই নিজেরাই ওই পার্টি অফিস ভেঙে আমাদের বদনাম করতে দলের উপর মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। পুলিস ও প্রশাসনকে দিয়ে আমাদের দলীয় কর্মীদের চাপে রাখার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রসায়রের নারায়ণপুর এলাকায় লোকসভা ভোটের পর একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয় দলেরই কর্মীরা একে অপরের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক পার্টি অফিস বন্ধও করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন গ্রামের পার্টি অফিস খোলা হলেও নারায়ণপুরের রাধাবাজারে দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। ধগড়িয়া-নারায়ণপুর পিচ রাস্তার ধারে অবস্থিত ওই পার্টি অফিস সম্প্রতি খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, রবিবার রাতে অফিসের অ্যাসবেসটসের ছাউনি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়। একদিকের দেওয়ালেরও কিছুটা অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। অফিসের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে সেই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।