বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ওই কর্তা বলেন, বহু জায়গায় এখন বীজ বোনা থেকে ধান কাটা, সবই এখন ‘কম্বাইন হারভেস্টার’ যন্ত্রে হচ্ছে। চাষিদের দাবি, যন্ত্রে ধান কাটার পর জমিতে অপেক্ষাকৃত বড় গোড়া পড়ে থাকছে। ধান ঝাড়ার পর প্রচুর টুকরো খড়ও পড়ে থাকছে। তা সাফাই করার লোক মিলছে না। তাই জমিতেই আগুন দিতে হচ্ছে।
ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর ফল কী হতে পারে, তা দেখেছে দিল্লি। সকাল ১০টার সময়ও ঘুটঘুটে অন্ধকার গ্রাস করেছিল দিল্লিকে। সেই উদাহরণ দেখিয়ে গাছের বাকি অংশ জমিতে না পোড়ানোর জন্য নির্দেশও দেয় কৃষি দপ্তর। কিন্তু তারপর খুব একটা বদল কিছুই ঘটেনি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তোলা যায়নি বলে মনে করছেন কৃষি দপ্তরের কর্তাদের একাংশ। সেজন্য এবার আর লিফলেট বিলি বা মাইকে প্রচার নয়, গ্রামে গ্রামে শিবির করে ন্যাড়া পোড়ানোর কুফল বলা, চাষিদের বোঝানোর কাজ করা হবে। পাশাপাশি এর বিকল্প হিসাবে কী করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) রঞ্জন রায় চৌধুরী বলেন, এভাবে আগুন ধরানোর ফলে মাটিতে মিশে থাকা চাষের সহযোগী পোকামাকড় ও জীবাণু মরে যায়। তাতে জমির ক্ষতি হয়। তারসঙ্গে রয়েছে দূষণের সমস্যা। এতে ভয়ানক বায়ু দূষণ ছড়ায়। এছাড়া, এই প্রবণতার জেরে আরও অনেক ক্ষতি হয়। রাজ্যের নির্দেশে এবার আমরা এনিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছি। সোমবারই সব জায়গায় এই বিষয়ে আলোচনা হবে। চাষিরা আলোচনায় থাকবেন। এই কাজ আইনত নিষিদ্ধ। সে বিষয়টিও চাষিদের জানানো হবে।
কৃষি কর্তারা বলেন, জমির উপরিভাগের ৬ ইঞ্চি মাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাড়া পোড়ানোয় মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়। মাটিতে থাকা উপকারী জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। তবে চাষিদের অনেকেই মনে করেন, এতে কোনও ক্ষতি হয় না। এতে জমিতে সার বাড়ে। আগে তো পোকামাকড় মারতে আগুন দেওয়াই রীতি ছিল। কিন্তু এই ধারণা যে সম্পূর্ণ ভুল তা বার বার বলে আসছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
শিবির থেকে বার্তা দেওয়া হবে, ধানের খড় না পুড়িয়ে আয় বাড়ানোও সম্ভব। খড় ঠিকমতো সংগ্রহ করলে জ্বালানি, শিল্পের কাঁচামাল, গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে বিক্রি করা সম্ভব। কৃষিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। যেমন, খড় ও ন্যাড়া মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে মাটির উর্বরতা, জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া, আরও বেশকিছু ব্যবহার রয়েছে ন্যাড়া ও খড়ের। তাই এই কাজ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।