পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহকুমার একমাত্র পুলিস মর্গ রয়েছে আরামবাগ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মর্গে প্রতিদিন গড়ে ৩টি করে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। হাসপাতালে পেছনের দিকে দীর্ঘদিন ধরে এই পুলিস মর্গ থাকলেও এখানে নেই কোনও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা। পুলিস মর্গের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রায় ৫০জন চিকিৎসকের প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা এখনও বাকি পড়ে রয়েছে। প্রতি ময়নাতদন্ত পিছু চিকিৎসকদের সরকারি ভাবে ৫০০টাকা করে দেওয়ার কথা। কিন্তু, হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই টাকা দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে পাচ্ছেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ময়নাতদন্তের জন্য ডাক্তারদের সমস্ত বিল ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ময়নাতদন্তের বিল মেটানো হচ্ছে না। এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার শিশির নস্কর বলেন, নিয়ম অনুসারে ২০১৭-’১৮ এবং ২০১৮-’১৯ অর্থ বছরে ময়নাতদন্ত করার জন্য হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের স্টেটমেন্ট এসডিও অফিসের নাজিরখানায় জমা করা হয়েছে। অথচ তারপরেও এখনও ডাক্তারদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি।
মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক উদয়কুমার মণ্ডল বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে ডিউটি করবার পর চিকিৎসকদের পুলিস মর্গে এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে হয়। কিন্তু, দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করার জন্য আমরা টাকা পাচ্ছি না। কী কারণে আমাদের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা আসছে না, তা বুঝতে পারছি না।
জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুসারে হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রায় প্রত্যেককেই একদিন করে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করতে হয়। এক একটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য চিকিৎসকরা পান ৫০০ টাকা। যে সকল চিকিৎসক এই কাজ করে থাকেন, তাঁদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা স্টেটমেন্ট তৈরি করে বিল আকারে তা জমা দেওয়া হয় এসডিও অফিসের নাজিরখানায়। তারপর সেখান থেকে ওই বিল যায় ডিএম অফিসের ওসি জুডিসিয়াল মুন্সিখানায়। মূলত সেখান থেকেই রাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টের তরফে চিকিৎসকদের বিল অনুযায়ী তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। আরামবাগ এসডিও অফিসের এক আধিকারিক এবিষয়ে বলেন, নিময় মেনে আমরা ওই বিল ডিএম অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপর কী অবস্থায় জানি না।
উল্লেখ্য, আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল, গোঘাট থানার পুলিস কেসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় এই পুলিস মর্গে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই পুলিস মর্গে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থা নেই বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক্তারদের একাংশ। মর্গ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক টেবিলের ব্যবস্থাটুকু নেই। মাস খানেক আগে কেবলমাত্র ছ’টি ড্রয়ারে মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছে।