কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে মোট ভোটারের তুলনায় গত শুক্রবার পর্যন্ত তা করেছেন ১০লক্ষ ২১৭১মানুষ। এর মধ্যে ৪লক্ষ ১৫হাজার জন ভোটার তাঁদের কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের কারও নিজের নাম, বাবার নাম, বয়স, ঠিকানা প্রভৃতি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া নতুন ভোটার হতে আবেদন করেছেন প্রায় ১০হাজার জন।
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশজুড়ে ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেইজন্য জেলার পাশাপাশি মহকুমা ও ব্লকস্তরেও বিশেষ ক্যাম্প খুলে ভোটারদের কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া চলেছে। এক আধিকারিকের দাবি, পঞ্চায়েতস্তরেও এই ক্যাম্প খোলা হয়। প্রথমদিকে ভোটার যাচাইয়ের জন্য সেভাবে সাড়া না পাওয়া গেলেও পরে প্রায় প্রত্যেকটি ক্যাম্পেই ভিড় দেখা যায়। সিউড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয়ের নীচে একটি শিবির করা হয়েছে। সেখানে পুজোর আগে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।
প্রশাসনের একাংশের দাবি, অনেকে এনআরসি-র আতঙ্কে ক্যাম্পগুলিতে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ করেছেন। পরে অবশ্য একাংশের মধ্যে সচেতনতা ফিরতে অনেকেই এই কাজে সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। তাছাড়া ভোটার তথ্য যাচাইয়ের জন্য ইন্টারনেটে যে সার্ভারটি রয়েছে তার গতিও অনেকটা ধীর। তাই তথ্য যাচাইয়ের কাজে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ কিছুটা শ্লথ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের তরফে সময়সীমা বাড়িয়ে প্রথমে ১৫অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। তাতেও আশানুরূপ সাফল্য না আসায় বর্তমানে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
এই কাজ করার জন্য ভোটাররা নিজস্ব অ্যানড্রয়েড ফোনের পাশাপাশি ভোটার ফেসিলিটেশন সেন্টার থেকে তথ্য যাচাই করেছেন। এমনকী, ওয়েব পোর্টাল, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ, বিএলও নেট প্রভৃতি জায়গা থেকেও এই কাজ চলছে। জেলায় অনেকেই সেইসব মাধ্যমে নিজেদের ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন। কিন্তু, গত দেড় মাসে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জেলায় সবেমাত্র প্রায় ১০লক্ষ মানুষই এই কাজ করিয়েছেন।
অভিযোগ, উপযুক্ত প্রচারের অভাবে অনেকেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে জেলাশাসকের দাবি, বিডিও অফিস থেকে ইতিমধ্যে অনেকেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ করতে হবে বলে জেনে গিয়েছেন। তবে, সার্ভারের গতি শ্লথ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও আমাদের অভিযোগ করেছে। কীভাবে কাজ শেষ করা যাবে সেনিয়ে ভাবা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর বিধানসভা থেকে ৮৩হাজার ২১৬জন আবেদন করেছেন। সিউড়ি বিধানসভায় আবেদনের সংখ্যা ৬৬হাজার ৭জন। বোলপুর থেকে এসেছে ৮৪হাজার ৭৯১জনের। নানুর বিধানসভা থেকে আবেদনের সংখ্যা ১লক্ষ ১২হাজার ৮৬৫জনের। লাভপুর থেকে আবেদন এসেছে ৯২হাজার ৩৬জনের। সাঁইথিয়া বিধানসভায় আবেদনের সংখ্যা ৭৭হাজার ৮৩৪জনের। ময়ূরেশ্বরে ৮৩হাজার ৪৫৫জন। রামপুরহাট থেকে আবেদন করেছেন ৭৭হাজার ১৪০জন। হাঁসন বিধানসভায় ১লক্ষ ৩১হাজার ৫৪৬জন আবেদন করেছেন। নলহাটিতে আবেদন হয়েছে ১লক্ষ ১২হাজার ৪১৪জন। মুরারই বিধানসভা থেকে আবেদন করেছেন ১লক্ষ ৫৯০জন। সারা জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত আবেদন এসেছে ১০লক্ষ ২১হাজার ৯৯৪জনের। সিউড়ি বিধানসভার মধ্যে রয়েছে জেলা সদর শহর। অথচ জেলার মধ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ এই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজে আবেদন করেছেন। তাই সময়সীমা অনুযায়ী জেলায় আদৌ প্রায় ২৬লক্ষ মানুষের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।