পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা থানা এলাকা থেকে পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে পুরুলিয়া জেলা পুলিস। শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক তাঁকে দু’দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। রবিবার সন্ময়বাবুকে ফের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী সন্ময়বাবুর জামিনের বিরোধিতা করে জানান, তদন্ত একবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, সন্ময়বাবুর পক্ষে থাকা তিনজন আইনজীবী আদালতে জানান, পুলিস যা উদ্ধার করার কথা বলেছিল তা ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে। সন্ময়বাবু তদন্তে সবসময় সহযোগিতা করবেন। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখা অযৌক্তিক। বিচারক দু’পক্ষের সাওয়াল জবাব শোনার পর ধৃত সন্ময়বাবুর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
তাঁর আইনজীবী নীলেশ সরকার বলেন, ৩ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এবং তদন্তকারী অফিসারের কাছে সপ্তাহে একদিন হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এদিন মহিষাদল থানার পুলিস অন্য একটি মামলায় সন্ময়বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
এদিন জেলা আদালত কক্ষে সন্ময়বাবুর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাত, প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এদিন আদালত চত্বরে ধৃত সন্ময়বাবুর দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি বিষয় প্রমাণ করতে না পেরে পুলিস ভাইকে অন্য মামলায় জড়াতে চাইছে। আসলে ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ২০২১ সালের ভোট পর্যন্ত সন্ময়কে জেলে রেখে মুখ বন্ধ রাখতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্যসরকার ও পুলিস। বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আইনি সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তন্ময়বাবু বলেন, যাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করবেন তাঁদের সবাইকেই স্বাগত।
অন্যদিকে, এদিন জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সন্ময়বাবু বলেন, ১৭তারিখ রাত সাড়ে ৭টা থেকে ভোর ৪টে ৪০মিনিট পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা ধরে খড়দা থানায় অমানসিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করা হয়েছে। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়েছে। জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাও বলা হয়নি। তবে পুরুলিয়া জেলা পুলিস অনেক ভদ্র্র ব্যবহার করেছে। আমার পিঠে এখনও যন্ত্রণা হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, এখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে নাকি? আমি অন্যায় কিছু বলে থাকলে মানহানির মামলা করুক। পুলিসকে দিয়ে নির্যাতন কেন? ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কথা মতো খড়দা থানা যে অত্যাচার করেছে তাতে হয়তো মরেই যেতাম। বর্তমান শাসকের অগণতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে লেখার জন্য আমার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আইনগতভাবে যতদূর যেতে হয় যাব।