বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। জখম বধূর বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাটোয়া-২ ব্লকের পলসোনা গ্রামে কাটোয়া-মালডাঙা রোডের ধারে বাবু ঘোষের স্ত্রী বুল্টি ঘোষ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁকে কেউ ঘরের ভিতরে ঢুকে বঁটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। ধারালো বঁটির কোপে বুল্টিদেবীর নাকের একাংশ এবং বাঁহাতের চারটি আঙুল কেটে যায়। চারটি আঙুল শরীর থেকে আলাদা হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম বধূর চিৎকার শুনে তাঁর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিস।
শনিবার কাটোয়া থানায় জখম বধূর জেঠু নিমাই ঘোষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নিমাই বাবু পুলিসকে জানান, এদিন তাঁর আমার ভাইঝি ঘরে তাঁর ছোট মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিল। সেই সময় কেউ ঘরে ঢুকে ভাইঝিকে বঁটি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে। ঘরের আলো নেভানো থাকায় ওই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা যায়নি। একই কথা পুলিসকে জানিয়েছেন জখম বধূ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুল্টিদেবীর স্বামী ছানা বিক্রি করতে প্রতিদিন বাইরে যান। তাই রাত করে বাড়ি ফেরেন। এদিনও ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ফেরেননি। তবে বাড়িতে অন্যান্য ঘরে বুল্টিদেবীর শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর ও জা ছিলেন। ঘটনার পরে বুল্টিদেবীর চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে এসে দেখেন রক্তে গোটা বাড়ি ভেসে যাচ্ছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। কী কারণে, কে এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে ধন্দে পুলিস সহ পরিবারের লোকজন।
প্রতিবেশীদের একাংশ প্রথমে মনে করেছিল বাড়িতে হয়তো ডাকাত পড়েছে। তাই ডাকাতি করতে বাধা পেয়ে হয়তো তারাই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, পুরনো শত্রুতার জেরে কেউ এই কাজ করেছে। তবে বাড়ি থেকে টাকা বা জিনিসপত্র খোয়া যায়নি বলে পুলিসকে জানিয়েছেন বধূর পরিবারের লোকজন। তবে পুলিস এই ঘটনায় এখনও মুখ খুলতে চাইছে না। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া থানার জগদানন্দপুরের আমডাঙার বাসিন্দা বুল্টিদেবীর সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় পলসোনা গ্রামের বাসিন্দা বাবু ঘোষের। প্রতিবেশীরা বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সেরকম বড় কোনও অশান্তি হয়নি। তাদের দুই ছেলে মেয়ে আছে। প্রতিদিনের মতোই রাতে খাওয়া দাওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে শুতে যান বুল্টিদেবী। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিন বুল্টিদেবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গোটা বাড়িতে চাপ চাপ রক্ত পড়ে আছে। পুলিস রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করেছে।