গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দুর্গাপুজোয় এবার পদ্মের বাজার ছিল তুঙ্গে। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ফুলের বাজারে পদ্মের দাম নিম্নমুখি হয়নি। লক্ষ্মীপুজোয় বহরমপুরে প্রতি পিস পদ্মের কুড়ি ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে বিকিয়েছে। এবার বর্ষায় সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় পদ্ম চাষের জলাশয় প্রায় শুকিয়ে যাচ্ছিল। পুজোর আগে টানা বর্ষণ পদ্মের ফলনে আরও ধাক্কা দিয়েছিল। দুর্গাপুজোয় লাগাম ছাড়া দামের মাসুল গুনতে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তা সহ সাধারণ মানুষকে। কালীপুজোতেও জবার দাম ঊর্ধ্বমুখি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। বহরমপুরের ফুল ব্যবসায়ী উৎপল ঘোষ বলেন, কালীপুজো এক সপ্তাহ দেরি রয়েছে। ইতিমধ্যে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। কালীপুজোর আগে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও ঠান্ডাতে জবাগাছ কাবু হয়ে যাবে। ফুলের কুঁড়ি কম আসবে।
ফুল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, হিমঘরে পদ্ম মজুত রেখে কিছুটা হলেও পদ্মের আকাল ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু জবা দু’দিনের বেশি হিমঘরে রাখাও যায় না। ফুল ব্যবসায়ী রতন মালাকার বলেন, আজ বাজারে যে জবা দেখছেন সেগুলি একদিন আগে কুঁড়ি অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। পরদিন বাজারে পৌঁছনোর আগেই সেগুলি পাপড়ি মেলে। জবার কুড়ি ঠান্ডা ঘরে সংগ্রহ করে রাখা গেলেও দু’দিনের বেশি সতেজ থাকে না। ফলে কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকে কুড়ি সংগ্রহ করে রাখা গেলেও তা চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য।
গত বছর ১০৮ লাল জবার মালা বহরমপুরে বিকিয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে। খুচরো জবা বিকিয়েছে প্রতি পিস দু’তিন টাকা দামে। এবার ১০৮ জবার মালার দাম আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে সেভাবে জমি তৈরি করে জবার চাষ হয় না। নদীয়া, হাওড়ার ফুলের বাজার এই জেলায় জবা কুঁড়ির যোগান দেয়। জেলায় প্রয়োজনের সিংহভাগ জবাই আসে বাইরের বাজার থেকে। ফলে কালীপুজোয় জবার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে না নাগালের বাইরে যাবে তা নির্ভর করছে আমদানির উপর। তবে ঠান্ডা বেশি থাকলে জবা ফুল কম ফুটবে।