পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সপ্তম বেতন কমিশনের টাকা পাচ্ছিলেন না বিশ্বভারতীর কর্মীরা। সেনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল কর্মিসভা। ১০দিনেরও বেশি কর্মবিরতি চলার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন উঠে যায়। সেই সময় আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন অর্ক দাস। কর্মিসভার দাবি, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তাঁকে কলকাতার গ্রন্থন বিভাগে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে কর্মীরা উপাচার্যের দপ্তরে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মিসভার সদস্যরা। উপাচার্যের দপ্তরের গেটে তালা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে কর্মিসভা অভিযোগ করেছে, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাই দপ্তরের প্রবেশদ্বারে তালা মেরে দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে। তারই মাঝে উপাচার্যের দপ্তরে এসে উপস্থিত হন বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলীর সদস্যরা। তাঁরা এর প্রতিবাদ করায় কর্মিসভার সদস্যদের সঙ্গে বচসা হয়। দীর্ঘক্ষণ পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে কর্মিসভা।
কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অপরাধে অর্ক দাসকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীরা তালা মেরে দেন।
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ইচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে বদলি করা হয়নি। সবকিছুই নিয়মমাফিক করা হয়েছে। ম্যানেজমেন্ট যেমন প্রয়োজন বোধ করেন তেমনি বদলি করা হয়। কিন্তু, এই বদলিকে ঘিরে যে ধরনের গুন্ডামি করা হয়েছে, বিশ্বভারতী ম্যানেজমেন্টের তরফে এর তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।