বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাতীয় সড়কটির রামপুরহাট থেকে নলহাটি পর্যন্ত রাস্তার হাল তুলনায় ভালো থাকলেও নলহাটির গোপালপুর মোড় থেকেই বেহাল অবস্থা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে দৈন্যদশা গোপালপুর থেকে কয়থা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তার। কয়েকমাস আগে বেহাল অংশ সংস্কার করা হলেও বর্তমানে পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এখন যেভাবে ধুলো উড়ছে তাতে বায়ু দূষিত হওয়ার পাশাপাশি রাস্তার ধারের হোটেলের ও বাড়ির খাবারে পড়ছে।
বিভিন্নস্তরে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এদিন সকালে দু’টি জায়গা গোপালপুর ও কলিঠা মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন ধুলোয় জেরবার এলাকার মানুষ। তাঁরা রাস্তার উপর গার্ডরেল লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম এই সড়ক। অবরোধের জেরে সড়কের দু’দিকেই প্রচুর যাত্রীবোঝাই বাস ও অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে।
এলাকার বাসিন্দা সাহাদুল আলি, আলি মুর্তোজা, সিলন শেখরা বলেন, বেহাল রাস্তার কারণে যানবাহন চলাচল করছে সাপের মতো। নিত্য এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষায় জলকাদা জমে সড়ক মবণফাঁদ। আর এখন ধুলোয় জেরবার আমরা। নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। একটা গাড়ি যাওয়ার পর কয়েকহাত দূরের কিছুই দেখা যায় না। বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করেও ধুলো রোখা যাচ্ছে না। খাবার, পানীয় জল সবেতে ধুলোর আস্তরণ জমছে। কতদিন এভাবে বেঁচে থাকা যায়। অনেক সহ্য করার পর এই আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। পরে পুলিস এসে আপাতত দু’বেলা রাস্তায় জল ছিটানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ মুক্ত হয় সড়ক।
বেহাল রাস্তা প্রসঙ্গে নীরজ সিং বলেন, কয়েকমাস আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়েছে। কিন্তু, ওভারলোড গাড়ি চলাচলের ফলে অল্পদিনেই রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। ওভারলোড বন্ধ করতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার চিঠি দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কেউ কিছু করে না। কতবার রাস্তা ঠিক করবে। এভাবে তো সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। যখন তারা ওভারলোড বন্ধই করবে না তখন সড়ক ঠিক করে কি লাভ? অল্পদিনেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ার জন্য ঠিকাদারদের বিল আটকে যাচ্ছে। তাঁরা ওভারলোড বন্ধের দাবিতে কোর্টে যাচ্ছেন। এভাবে ওভারলোড চলতে থাকলে ব্রিজগুলিও ভেঙে পড়বে।
যদিও জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, পুলিস প্রশাসন অনেকটাই ওভারলোডিং আটকেছে এবং প্রতিনিয়ত নজরদারি চলছে। প্রতিদিন এই সড়কে প্রায় ৯০০০ লোড গাড়ি চলাচল করে। তাই একটা প্রস্তাব উঠেছিল সড়কটিকে কংক্রিটের করা যায় কি না। যদিও সেটা টেকনিক্যাল ব্যাপার। পাশাপাশি একমাস হয়ে গেল সড়ক কর্তৃপক্ষকে জায়গা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। যেখানে ওয়েব্রিজ করার পাশাপাশি ওভারলোড গাড়ি থেকে নামানো মালপত্র রাখা যেতে পারে। ওই পয়েন্টে পুলিস, প্রশাসন ও ভূমি দপ্তরের লোকজনেরা দাঁড়াতে পারবেন। জায়গা না দিলে কোন পয়েন্টে ওয়েব্রিজ করব?