দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বিজ্ঞান মঞ্চের এককর্তা আশুতোষ পাল বলেন, কাউকে বিষধর সাপে কামড়ালে কোনও ওঝা তাঁকে বাঁচাতে পারে না। একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। তাকে একমাত্র অ্যন্টিভেনাম ইঞ্জেকশন দেওয়া প্রয়োজন। এদিন কুরিচা গ্রামে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল।
কয়েকদিন ধরেই কুরিচা গ্রামে নজরদারি চালাচ্ছে নাদনঘাট থানার পুলিস। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ৭টা নাগাদ বিডিওর নির্দেশে ওই গ্রামের গৃহবধূ সুজাতা সরকারকে আটক করে পুলিস। রাতে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই বলেন, ওই গৃহবধূ স্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হিস্টিরিয়া রোগীদের বেশ কিছুদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যে কোনও সময় ওই রোগীর অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হতে পারে। ওঁকে মঙ্গলবার ফের হাসপাতালের আউটডোরে এসে ডাক্তার দেখাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুজাতাদেবী দাবি করেন, তার দেহে মা মনসা ভর করেছে। সাপের মতো আচরণ করে নানা অলৌকিক কথা বলতে শুরু করে। তার সেই আচরণ দেখে ওই গ্রামের একাংশ হতবাক হয়ে যান। অধিকাংশ বাসিন্দা ওই গৃহবধূর নিদান মানছিলেন বলেও অভিযোগ। প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছিল। সেই খবর পুলিস-প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। এদিন ওই গ্রামের এক বাসিন্দা প্রমথেশ মান্না বলেন, সবটাই বুজরুকি। গ্রামে মা মনসাই যদি অর্বিভাব হবেন, তাহলে এই দেশের কোনও মানুষ আর অভুক্ত থাকবে না। গ্রামের সবার সরকারি চাকরি হয়ে যাবে। ওই গৃহবধূর স্বামীর আর্থিক উন্নতি হতো।