কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সূতি-২ নম্বর ব্লকের সরলা গ্রামের মর্ডান পাড়ার বাসিন্দা যুধিষ্ঠিরবাবুর নিজের আট বিঘা চাষের জমি ছিল। চাষাবাদ করেই সংসার চালাতেন। এবছর পাঁচ বিঘা জমিতে ধান এবং ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। এর জন্য তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৩৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এছাড়া স্ত্রীর সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে চড়া সুদে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, দুর্গাপুজোর দিন কয়েক আগে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে এবং ঝাড়খণ্ড থেকে আসা জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে সমস্ত জমি। বেশ কয়েকদিন জলের তলায় ডুবে থাকার কারণে ফসল নষ্ট হয়। তারপরই ঋণের টাকা কীভাবে মেটাবেন, সেই চিন্তায় বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যুধিষ্ঠিরবাবু। এরপর এদিন জমিতে কীটনাশক দেওয়ার নাম করে বেরিয়ে ওই কীটনাশক খেয়ে নেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারিরীক অবস্থার অবনতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মণ্ডল পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃতের ছেলে দিবাকর মণ্ডল বলেন, ব্যাঙ্ক ও মহাজনের ঋণ শোধ করা নিয়ে বাবা কদিন ধরে চিন্তা করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কয়েকদিন ধরে বাড়ির কারও সঙ্গে ঠিকভাবে কথাবার্তা বলছিলেন না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই বাবা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। বাবা যে এরকম ঘটনা ঘটাবেন তা বুঝতে পারিনি।
জঙ্গিপুর মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা উওম কোনাই বলেন, সরলা গ্রামে যুধিষ্ঠিরবাবুর বাড়িতে কৃষি আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। উনি মোট আট বিঘা জমিতে পাট ও আমন ধান চাষ করেছিলেন। বন্যা ও বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়। আমরা মৃত কৃষকের পরিবারের পাশে আছি।