পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও পৃথক জেলাগুলিকে ১০০ দিনের কাজের নিরিখে পুরস্কৃত করে। তাই গত ২০১৮-’১৯ আর্থিকবর্ষে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসুনিশ্চয়তা প্রকল্পে বার্ষিক পুরস্কার দেবে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। সেইজন্য মন্ত্রকের তরফে পশ্চিমবঙ্গের আটটি জেলাকে তাদের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আটটি জেলার মধ্যে বাঁকুড়া, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ রয়েছে। এরসঙ্গে বীরভূম জেলাও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চলতি বছরে ১০০ দিনের কাজে পুরস্কার পাওয়ার আগে কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে বীরভূম মনোনীত হওয়ায় জেলা প্রশাসনের অন্দরে খুশির হাওয়া।
আগামী ২৫ অক্টোবর দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লির লোধি রোডে একটি কনফারেন্স রুমে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে হাজির হওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। গত ২০১৮-’১৯ আর্থিকবর্ষের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে খতিয়ান তুলে ধরতে জেলা প্রশাসনও বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে রাজনগর ব্লকে আরবিয়ান খেজুর চাষ করা হয়েছিল। সেই চাষে সাফল্য এসেছে। তাই ওই প্রকল্প সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হবে। এছাড়া ছোট-বড় পুকুর খনন, উদ্যান পালন ও মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে ১০০দিনের কাজের সমন্বয় করে চাষ, তাছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের যুক্ত করে জীবিকা নির্বাহ, পোল্ট্রি শেড, সেরি কালচারের মাধ্যমে রেশম গুটি চাষ, বৃক্ষরোপণ, জল সংরক্ষণ প্রভৃতি প্রকল্পের কাজ জেলার ১৯টি ব্লকে করা হয়েছে। সেইসব কাজের খতিয়ানই ওইদিন দিল্লিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে ‘প্রেজেন্টেশন’ করে দেখানো হবে।
জেলাশাসক বলেন, এই প্রকল্পগুলির পাশাপাশি চলতি বছরেও বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় ও জীবিকা নির্বাহ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এখনও পর্যন্ত জেলায় কর্মদিবসও ভালো স্থানে রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় কর্মদিবস গড়ে উঠেছে ৪২ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৮০। যদিও গতবছরের কর্মদিবসের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। তাই বাকি সাতটি জেলার সঙ্গে ১০০ দিনের কাজে আমাদের পারফরম্যান্স সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে যাওয়ার আগে বীরভূম জেলা প্রশাসন সাফল্য পাওয়া প্রকল্পগুলির পূর্ণাঙ্গ তথ্য লিপিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, আমরা ১০০ দিনের কাজকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে করেছি। গতবছর যেসব কাজ করা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের কাজ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অন্যান্য শ্রমিকরাও কাজের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে, ১০০ দিনের কাজে পুরস্কার পাওয়ার আগে কেন্দ্র সরকার খতিয়ান দেখানোর সুযোগ দেওয়ার খবর যথেষ্ট প্রসংশনীয়। এবারও জেলায় বৃক্ষরোপণ, জল সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করা হয়েছে।