পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপকুমার বেরোয়াল বলেন, নোনাশোল এলাকায় হাতির দলটি ছিল। দলে ৭০-৭৫টি হাতি রয়েছে। রাতের মধ্যে হাতির দলটি ওখান থেকে চলে গিয়েছে। এখন চাঁদরা রেঞ্জের পিড়াকাটার আগে ধেরুয়া বিট এলাকায় আছে। হাতির দলটি জঙ্গলে রয়েছে। এদিন খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসার খবর নেই। আর নোনাশোলে চাষিদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পুলিস প্রশাসন থেকে গ্রামবাসী, স্থানীয় প্রশাসন সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাতির গতিবিধির উপর বনদপ্তরের কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে ৫০-৫৫টি হাতির দল চাঁদরা সহ আশপাশের এলাকায় ছিল। পরবর্তীকালে হাতির দলটি ঝাড়গ্রামের দিকে চলে যায়। দু’দিন চাঁদরা রেঞ্জের আশপাশের এলাকায় কোনও হাতি ছিল না। আচমকা গত রবিবার ওড়িশা থেকে খড়গপুর হয়ে চাঁদরা রেঞ্জে ৭০-৮০টি হাতির দল ঢোকে। জঙ্গলের আশপাশের বাসিন্দা থেকে বনকর্মী সকলের ঘুম ছুটে যায়। গত কয়েকদিন হাতির দলটি জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরছিল। বিকেলের পর ধানের জমিতে হানা দিলেও খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেনি। কিন্তু, বুধবার থেকে হাতির দলটি নোনাশোল এলাকায় এসে ঘাঁটি গাড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর হাতির দলটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ধানের জমিতে নেমে পড়ে। হাতির দলে একাধিক বাচ্চা হাতিকে দেখা গিয়েছে। বিঘার পর বিঘা ধান জমি হাতির দল পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।
নোনাশোল এলাকাটি শালবনী ব্লকের গরমাল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। এই পঞ্চায়েতের সদস্য বিশ্বজিৎ সিং বলেন, বিষয়টি জানার পরই বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি নোনাশোলে গিয়েছিলাম। চোখের সামনে দেখি, প্রচুর হাতি ধানের জমি চষে বেড়াচ্ছে। প্রায় আড়াইশো বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে। চাষিরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। যদিও পরে হাতির দলটিকে জঙ্গলের দিকে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মিনু কয়োড়ি বলেন, বৃহস্পতিবার হাতির দল চাষিদের শতাধিক বিঘা ধান নষ্ট করে দিয়েছে। নিয়ম মেনে চাষিরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে বনদপ্তরের মাধ্যমে আমরা তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আর হাতির গতিবিধির উপর এলাকার মানুষ নজর রাখছেন। আমরা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি।