পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিগত কিছুদিনের মধ্যে কয়েকবার রাতের অন্ধকারে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী এলাকা থেকে চন্দন গাছ চুরি বা চুরির চেষ্টা হয়েছে। বিগত কয়েকবছরে শান্তিনিকেতন থেকে চুরি গিয়েছে বহু চন্দন গাছ। কিন্তু, চন্দন গাছের কাটা অংশ উদ্ধার হলেও কোনওবারই ধরা পড়েনি চোরের দল। বারবার চুরির ঘটনা ঘটায় শান্তিনিকেতন জুড়ে তাদের নজরদারি বাড়িয়েছিল বিশ্বভারতীর নিজস্ব ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী সহ পুলিস প্রশাসন। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে রবীন্দ্রভবনের পিছনের দিকে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। রবীন্দ্রভবনের পিছনে লালবাঁধ এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাড়াতে ধাওয়া করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় শূন্যে দু’রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট শান্তিনিকেতন থানায় গুলি চালানোর কারণ লিখিতভাবে জানানো হয় বিশ্বভারতীর তরফে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী ছুটি থাকার দরুণ পুলিসকে জানাতে দেরি হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তা বিভাগের। বিশ্বভারতীতে গুলি চলার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই রবীন্দ্রভবনেই রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদকের রেপ্লিকা সহ অন্যান্য বহু মূল্যবান সামগ্রী। তাই রবীন্দ্রভবনের পিছনের দিকে জোড়ালো আলো দেওয়ার জন্যও নিরাপত্তা বিভাগের তরফে বিশ্বভারতী কর্মসচিবের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।
বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সমগ্র বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনজুড়ে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ আটকাতে আমরা বদ্ধপরিকর। গত বুধবার দুষ্কৃতীদের তাড়ানোর জন্য শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালাতে হয়েছিল। শুক্রবার আমরা গুলি চালানোর বিষয়টি পুলিস প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীতে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকে। তাই লিখিতভাবে জানাতে দেরি হল।