কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বাঁকুড়ার সিএমওএইচ প্রসূনকুমার দাস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে জেলায় ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে। মশা নিধনে জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনও এলাকায় জ্বর হলেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাঁকুড়া সদর স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, আঁচুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকায় ১২জন, ছাতনায় ১৬, শালতোড়ায় ১৬, মেজিয়ায় এক, অমরকাননে ১০, কাঞ্চনপুরে ১০, বড়জোড়ায় ১৮, ওন্দায় ২৫, ইন্দপুরে তিনজন, সিমলায়(খাতড়া) দু’জন, হীড়বাঁধে দু’জন, রানিবাঁধে একজন, রাইপুরে দু’জন, সারেঙ্গায় দু’জন, তালডাংরায় একজন, সিমলাপালে পাঁচজন এবং বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় ১৩জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যালাইজা পরীক্ষায় তাঁদের অধিকাংশের রক্তে এনএস-১ এবং বেশ কিছুজনের রক্তে আইজিএম পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ৯৯জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৩০জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন।
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখী ব্লক এলাকায় চারজন এবং সোনামুখী পুরসভা এলাকায় একজন, বিষ্ণুপুর ব্লকে ২১জন, বিষ্ণুপুর পুরসভায় তিনজন, জয়পুরে সাতজন, কোতুলপুরে ১০জন, পাত্রসায়রে দু’জন এবং ইন্দাসে তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রেও অ্যালাইজা পরীক্ষার পর ডেঙ্গু বলে নিশ্চিতকরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকবছর ধরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ব্যাপক আকারে দেখা দেওয়ায় রাজ্য সরকার পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ডেঙ্গু বাহিত মশার লার্ভা নিধন থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে জলের নমুনা সংগ্রহ, এলাকার ঝোপঝাড় পরিষ্কার সহ সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও সচেতনতামূলক একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা দাবি করেছেন। জেলায় চলতি বছরে ডেঙ্গুতে কোনও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটায় তাঁরা স্বস্তিতে রয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ টিম যাচ্ছে। সেখানে কীটনাশক স্প্রে করে মশা নিধনে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে জ্বর হলে বাসিন্দারা যাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করান। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করান সেবিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে। কোনও একই এলাকায় অনেকে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। তাই আতঙ্কেরও কোনও কারণ নেই।