গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করার সময় দুই ব্যক্তি রানাঘাট থানার হবিবপুর পঞ্চায়েতের কলাইঘাট এলাকার মুদি ব্যবসায়ী হরলাল দেবনাথকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। দুই দলই হরলালবাবুকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে। যদিও হরলালবাবু কোনও দল করতেন না বলে তাঁর স্ত্রী চন্দনাদেবী জানান। পুলিসও তদন্তে নামার পর ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। পুলিসের প্রাথমিক ধারণা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন হয়ে থাকতে পারেন হরলালবাবু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস দুই ব্যক্তিকে আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরে তাদেরকে শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রানাঘাটের পুলিস সুপার ভিএসআর আনান্তনাগ বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই আমরা অভিযুক্ত নাম প্রকাশ করছি না। আরও একজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাকে নাগালে পেতেবিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। সে ধরা পড়লেই গোটা বিষয়টি পুলিসের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
তদন্তের সুবিধার জন্য সোমবার পুলিস প্রত্যক্ষদর্শী হরলালবাবুর পরিবারের এক সদস্যের বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধী এক ব্যক্তির স্কেচ তৈরি করে। বহু সময় ধরে ভবানী ভবন থেকে আসা সিআইডির বিশেষজ্ঞরা ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষদর্শীর থেকে বর্ণনা নিয়ে স্কেচ তৈরি করেন। এরপর সেই স্কেচের ছবি তদন্তকারী অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সেই স্কেচের ছবি এলাকার কয়েকজন মানুষকে দেখানোও হয়। বাসিন্দারা পুলিসের কাছে দাবি করেন, সেই স্কেচের ছবি এলাকার পরিচিত নয়। পুলিসকর্তাদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে স্কেচের ছবি অনেকটাই সহযোগিতা করেছে। ধৃতকে পুলিস শুক্রবার আদালতে পাঠাবে। তারপর পুলিস অভিযুক্তকে জেরা করে অপর অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় সম্পর্কেও পরিষ্কার হতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা। হরলালবাবুর বা তাঁর পরিবারের কোনও পুরনো শত্রু ছিল কি না, তাঁর সঙ্গে কারও বচসা বা গণ্ডগোল হয়েছিল কি না, তাঁর পরিবার আগে কোনওভাবে আক্রান্ত হয়েছিল কি না, সম্পত্তিগত কোনও সমস্যা ছিল কি না, ধৃতের সঙ্গে হরলালবাবুর শত্রুতা ছিল কি না এসব বিষয়গুলি দেখতে চাইছে পুলিস। পুলিসের দাবি, হরলাল দেবনাথ খুনের ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। খুব শীঘ্রই ঘটনার বিষয়টি পরিষ্কার হবে।