কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অমর বাগদি(৬৮)। বাড়ি কাঞ্চনা গ্রামের বাগদিপাড়ায়। জানা গিয়েছে, নবমীর দিন সকালে অমর বাগদির নাতি বিজেপি সমর্থক চন্দন বাগদি গ্রামের শিবতলাপাড়ায় এসেছিল। এই পাড়াতেই বাড়ি পঞ্চায়েত সদস্যা মালতি ভল্লার। অভিযোগ, সেখানে মদ্যপ অবস্থায় চন্দনের সঙ্গে সদস্যার পরিবারের ছেলেদের ঝামেলা ও বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন অমর বাগদি। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন পঞ্চায়েত সদস্যার ভাই আনন্দ ভল্লা ওই বৃদ্ধের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বাসুদেবপুর হাসপাতাল ও পরে সিউড়ি হাসপাতাল হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের দাবি, সেখানকার চিকিৎসকরা আশা দিতে পারেননি। তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মৃতের ভাইপো মাধব বাগদি বলেন, আমরা বিজেপি সমর্থক। ওইদিন চন্দনকে দেখে সদস্যার পরিবারের ছেলেরা বিজেপি সম্পর্কে কটূক্তি করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে ঝামেলা বাধে। খবর পেয়ে আমরা গেলে মারামারি শুরু হয়। সেই সময় সদস্যার ভাই কাকার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। তার জেরেই এই মৃত্যু। তিনি বলেন, ওইদিনই থানায় আনন্দ ভল্লার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিকে ওই বৃদ্ধের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যা মালতি ভল্লা। তিনি বলেন, ওরাই তৃণমূলের নামে কটূক্তি করে। পরে চন্দন লোক ডেকে নিয়ে এসে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। ভাই আনন্দও তখন মদ খেয়েছিল। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। আনন্দকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় ওই বৃদ্ধও লাঠি দিয়ে মারতে আসে। তখন কোনওভাবে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় চোট পান। আমরাও ওদের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের অভিযোগ করেছি। এদিন ওই বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরে পুলিস আমার ভাইকে ধরে নিয়ে গেলেও ওদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিল না।
এদিকে এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অনঙ্গদেব মণ্ডল বলেন, মৃত বৃদ্ধ সরাসরি রাজনীতি না করলেও তাঁর পরিবার বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। ওইদিন অশান্তি ছড়াতেই পরিকল্পিতভাবে বিজেপি পার্টির নামে কটূক্তি করেছিল পঞ্চায়েত সদস্যার ভাই। প্রতিবাদ করায় নাতিকে না পেরে তাঁর দাদুকে লাঠির আঘাত দিয়ে খুন করা হল। আমরা এই খুনের বিচার চাই।
যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস চন্দ্র বলেন, ওই বৃদ্ধের বয়স ৭০-র কাছাকাছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন। কেউ তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেনি। উনি অশান্তির সময় পড়ে যান। এখন সেই মৃত্যুর দায় আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে। পুলিস সঠিক তদন্ত করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।