কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত কয়েকদিন আগে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি হাসপাতালে কেশপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে এসেছিলেন। সেদিনই তিনি হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের মেঝেতে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, জেলাশাসক রশ্মি কমলকে ফোন করে তিনি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে হাসপাতালে বেড বাড়ানো ছাড়াও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে ক্যান্টিন বিল্ডিং রয়েছে। কিন্তু, সরকারি কোনও ক্যান্টিন নেই। এবার ওই বিল্ডিংয়ে ক্যান্টিন চালানোর জন্য কাউকে লিজ দেওয়া হবে। রোগীদের পরিবারের লোকজনদের বসার জন্য একটি শেড করা রয়েছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় আরও একটি শেড করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্য একটি জায়গা দেখা হবে। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাইকেল, বাইক স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেখানে কেউ সাইকেল বা বাইক রাখেন না। এমনকী হাসপাতালের কর্মীরাও তা করেন না বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে নোটিস দিয়ে কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হবে, এবার থেকে কর্মীরা সাইকেল বা বাইক নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে রাখবেন। অন্যত্র রাখা চলবে না। পাশাপাশি রোগীদের পরিবারের লোকজনকেও এই বিষয়ে সচেতন করা হবে। হাসপাতালের ভিতরে একটি এটিএম চালু রয়েছে। আরও একটি এটিএম চালুর পরিকাঠামো তৈরি করা রয়েছে। ঠিক হয়েছে, আরও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে এটিএম করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) প্রতিমা দাস বলেন, এখন রোগীর চাপ বেশি থাকায় একটি বেডে একাধিক রোগী থাকে। কিছু রোগী মেঝেয় থাকেন। এবার হাসপাতালে জায়গার অবস্থা দেখে আমরা বেডের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রোগীর চাপ থাকায় টিকিট কাউন্টারে অনেক লাইন পড়ে। আরও টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।