বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যদিও এই দৃশ্য দেখে এলাকার শয়ে শয়ে মানুষ সেখানে ভিড় করতে শুরু করেন। এদিকে স্থানীয় মানুষের আবেগ দেখে বিডিও নীতীশ বালা ওই বধূকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, আমার নাম ও বাড়ি কোথায় আপনাকে বলতে হবে। এর জবাবে ওই বধূ বলেন, নেতা-মন্ত্রীদের এখানে আনা হয়েছে। আমি কারও কথার জবাব দেব না। তবে, আমি এলাকার কারও ক্ষতি করব না। আমাকে তোরা দুধ কলা দিবি। এরপরে ওই বধূ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। একজন তাঁর উপর জল ছিটিয়ে দিতেই তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন। বিডিও তাঁকে বলেন, হিস্টিরিয়া রোগ থাকলে অনেকে এমন আচরণ করে। নাদনঘাট থানার ওসি সুদীপ দাস বিডিওর ওই কথাকে সমর্থন করেন। রোগের কথা শুনে রেগে যান বধূ। তিনি বিডিও ও ওসির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। চারিদিকে জড়ো হওয়া গ্রামবাসীরা ওই কাণ্ড দেখে হতভম্ব হয়ে যান। বিডিও গৃহবধূকে বলেন, শীঘ্রই বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের এই গ্রামে নিয়ে আসব। অলৌকিক ঘটনার নামে এখানে ভণ্ডামি হচ্ছে। বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা তা ধরিয়ে দেবেন। এরপর ওই গ্রাম থেকে বিডিও ও পুলিস চলে যায়।
প্রসঙ্গত, সাপে কাটা রোগীকে বাঁচানোর কথা বলে গ্রামের কোনও বাড়িতে রান্না না করার কথা বলেন ওই বধূ। তার নিদানকেই গ্রামবাসীরা মা মনসার নির্দেশ বলে মানতে শুরু করেছেন।
তবে এদিন প্রশাসনিক কর্তারা ওই গ্রামে যাওয়া পর অনেকেই এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। এলাকার বধূ মালতি পাত্র বলেন, আমি তিন বছর আগে এমএ পাশ করেছি। সুজাতাদেবীর নির্দেশে কি আমার সরকারি চাকরি হবে? সবটাই ফালতু। তাহলে এখানে সারা দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের লাইন পড়ে যেত। আরএক বাসিন্দা উত্তম পাল বলেন, এখন শুনতে পাচ্ছি, ওই মহিলার বাবা, মা এবং এক দিদির এমনটাই ভর হয়। আমি এই বুজরুকি মানতে পারব না। বিডিও বলেন, গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। শীঘ্রই বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যদের পাঠাব। তাঁরা এই বুজরুকি ধরিয়ে দেবেন।