পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইটামগরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শম্পা কাঁপ বলেন, বিভিন্ন গ্রামের অপুষ্ট মা ও শিশুদের পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গোরুর টাটকা দুধ জোগান দেওয়ার একটি পুষ্টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকার ১২টি গ্রাম সংসদজুড়ে প্রকল্প চলবে। আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সমীক্ষার ভিত্তিতে সরকারিভাবে নথিভুক্ত ৬২জন অপুষ্ট শিশু ও পাঁচজন অপুষ্ট মাকে এই প্রকল্পের সহায়তা দেওয়া হবে। এই তালিকায় এক বছরের নীচে অপুষ্ট শিশু রয়েছে ২টি, এক থেকে দু’বছরের শিশু রয়েছে ১৩টি এবং দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশু রয়েছে ৪৭টি। এই পঞ্চায়েত এলাকায় একজনও মা কিংবা শিশু যেন অপুষ্ট না থাকেন, সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, মা ও শিশুদের অপুষ্টি রুখতে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়ে প্রতিমাসের চতুর্থ শনিবারের বিধিবদ্ধ সরকারি সভাগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের ফলে কতজন শিশু ও মাকে তাঁরা সরকারিভাবে অপুষ্ট বলে নথিভুক্ত করছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা সেই নথিভুক্ত শিশু ও মায়েদের দেখে কী নিদান দেন, তা লিপিবদ্ধ করা হয়। সরকারি মাপকাঠি অনুযায়ী, ওই শিশু ও মায়েদের কী ধরনের পুষ্টি দরকার তা আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। তারপরই সাপ্লিমেন্টারি ফুড বা সহায়ক খাদ্য হিসেবে মা ও শিশুদের পঞ্চায়েত গোরুর দুধ বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
রামকৃষ্ণবাবু বলেন, অপুষ্ট মা ও শিশুদের সকলেই প্রায় গরিব পরিবারের। বাজার থেকে ৩৫-৪০টাকা লিটার দরে প্রতিদিন দুধ কিনে খাওয়ার ক্ষমতা নেই কারও। সেজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই দুধের জোগান দেবে। সেক্ষেত্রে খাঁটি ও টাটকা গোরুর দুধ পেতে সমস্যা হবে না। তবে নিয়মিত ওই মা ও শিশুরা দুধ পাচ্ছে কি না বা দুধের মান ঠিক রয়েছে কি না, তা দেখভাল করবেন আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেজন্য এই প্রকল্প শুরুর আগে প্রতি গ্রাম সংসদে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপসংঘগুলিকে নিয়ে একাধিকবার সচেতনতা সভা করা হয়েছে।
মহিষাদলের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহনলাল ঘোড়ই বলেন, মহিষাদল ব্লক এলাকায় খুব বেশি অপুষ্ট শিশু নেই। তবে অপুষ্ট শিশুর অনেকগুলি মাপকাঠি রয়েছে। ওই পঞ্চায়েত নিবিড়ভাবে অনেক বর্ধিত আকারে এই কাজ করছে। সেই হিসেবে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। অপুষ্টি রুখতে গোরুর দুধের মতো সুষম খাদ্য আর কিছু নেই। সেদিক থেকে ওই পঞ্চায়েত খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। মহিষাদলের বিডিও জয়ন্ত দে বলেন, ইটামগরা-২ বরাবরই নতুন ধরনের ভাবনাচিন্তা করে। সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ জেলায় পথ প্রদর্শন করবে।