গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সূর্যর মৃত্যুর পর তার বাবা ও পরিবারের সদস্যরা দেহ দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যায়। তখনই মৃতের মা পূর্ণিমাদেবী জানান, তাঁকে না জনিয়ে দেহ সৎকার করা হচ্ছে। এরপরেই পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তারপরে সন্ধ্যায় পূর্ণিমাদেবী স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী ছেলেকে খুন করেছে। গুরুতর অভিযোগ পেয়ে পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক অভিযুক্তর সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন পারিবারিক অশান্তির জেরে পূর্ণিমাদেবী বাপেরবাড়ি চলে যান। বাবা প্রকাশ পালের কাছেই থাকত মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ সূর্য ও তার ভাই সান। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ঢোকে প্রকাশ। পরের দিন সকালে ছোট ছেলে সানকে একটি বেসরকারি স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়িতে ঢুকে প্রকাশ আত্মীয়দের চিৎকার করে বলে, সূর্য সাড়া দিচ্ছে না। তারপরই দেখা যায় ওই বালক মারা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এরপরই তড়িঘড়ি শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে সে। আর এর থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে, কেন এত দ্রুত সবাইকে না জানিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কেনই বা ছোট ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর আগে বড় ছেলের দিকে নজর পড়ল না বাবার? এরপরেই ঘটনাস্থলে পূর্ণিমাদেবী ও তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন আসেন। পূর্ণিমাদেবীর দাবি, তখনই সান খুনের কথা জানায়।
পূর্ণিমাদেবী বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার সঙ্গে অশান্তি করত স্বামী। দশমীর দিনও আমাকে মেরে বের করে দিয়েছিল। খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি এই অবস্থা। তখনই সান আমাকে বলে, বাবা রাতে মদ খেয়ে এসে প্রথমে দাদাকে কুয়োয় ফেলে মারতে যায়। পরে গলায় গামছা দিয়ে টাঙিয়ে চেয়ার সরিয়ে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর দেহ নামিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
যদিও ধৃতর বউদি ডলি পাল বলেন, ছেলের জন্য কত চিকিৎসা করিয়েছে আমার দেওর। দামি দামি জুতো আনত, যাতে একটু হাটতে পারে। নিজের থেকেও প্রিয় ছেলের সঙ্গে ও এমন করতে পারে না।