কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, গোঘাটের ওই এলাকায় পুলিস ফাঁড়ি হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, হুগলি জেলার সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দূরত্ব মাত্র ৫০০মিটার ও বাঁকুড়ার দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোঘাট থানার সীমান্ত লাগোয়া বদনগঞ্জ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত লাগোয়া দুই জেলা থাকার কারণে অন্য জেলার দুষ্কৃতীরা অনায়াসে এখানে এসে অপরাধমূলক কাজ করে সহজেই তাদের নিজেদের জেলায় ফিরে যেত। পাশাপাশি কোকনদ এলাকা থেকে থানার দূরত্ব প্রায় ১২কিলোমিটার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধ দমনের উদ্দেশ্যেই এখানে ফাঁড়ি করা হয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে পুলিস ফাঁড়ি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি, বাম জমানায় ওই জায়গায় টিনের চালা করে তৈরি হয়েছিল সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। পরে রাজ্যের পালাবদল হতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিপিএম। পরবর্তী সময় সিপিএমের ওই কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সিপিএম নেতৃত্বও। সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায় বলেন, এলাকার অশান্তি রুখতে আমরাও চেয়েছিলাম, গ্রামে পুলিস ক্যাম্প হোক। কিন্তু, আমাদের ওই কার্যালয়ে কীভাবে পুলিস ফাঁড়ি খোলা হল তা বুঝতে পারছি না। বন্ধ অবস্থায় আমাদের দলীয় কার্যালয় পড়ে থাকলেও পুলিসের পক্ষ থেকে অন্তত আমাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল।
এবিষয়ে গোঘাট-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, আমরা কোনও দিনই ওই জায়গায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয় দেখিনি। যদি সিপিএম ওই জায়গায় তাদের কার্যালয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারে তবে অবশ্যই প্রশাসন আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে।
যদিও মজিদ দেওয়ান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একটা সময় এটি সিপিএমের কার্যালয় ছিল। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে তা তৃণমূলের দখলে যায়।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এখান থেকেই গ্রামের মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।