পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে মানবেন্দ্র রায় ও জগন্নাথ সরকার ছাড়াও সংগঠনের আরও অনেক নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর সেই বৈঠক ছেড়ে জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বেরিয়ে নিজের গাড়িতে উঠতে গেলে তাঁকে অপদস্থ ও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। সভাপতির এক সঙ্গীর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সভাপতিকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। সূত্রের খবর, যখন এই ঘটনা ঘটছে সেই সময় দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথবাবু। এবিষয় নিয়ে জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় ঘটনার পর বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর কিছু মানুষের কার্যালয়ের দখলদারি বন্ধ হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁরা এই কাজ করেছেন। এর আগেও বহুবার আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা হয়েছে। আজকে সেই কাজটা ওদের ফলপ্রসূ হয়েছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে। ওই রাতে মানবেন্দ্রবাবু কয়েকজনকে নিয়ে অভিযুক্তদের নামে রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে যান। পরে অবশ্য অভিযোগ না জানিয়ে তিনি ফিরে আসেন। ঘটনার পরের দিন তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দল বিষয়টি দেখছে। এখানে ব্যক্তি মানবেন্দ্রর কোনও বক্তব্য নেই। অন্যদিকে, জগন্নাথবাবু বলেন, এই ধরনের ঘটনার কথা আমার জানা নেই। অন্তত আমার সামনে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
সামনেই রয়েছে পুর নির্বাচন। তার আগে দলের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নেতৃত্বকে। গত লোকসভা ভোটে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে বিজেপি প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জয়লাভ করে। বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর থেকেই চলে আসছে গোষ্ঠী কোন্দল। জগন্নাথ সরকার সংসদ সদস্য হওয়ায় তাঁর জায়গায় তখনকার সহ-সভাপতি মানবেন্দ্র রায়কে জেলা সভাপতি করে দল। তারপর থেকেই একাধিকবার একাধিক জায়গায় সংসদ সদস্য ও জেলা সভাপতির গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বারংবার এই ঘটনায় নিচুতলার কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য লোকসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছে। দলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখবার জন্য নয়। বারংবার এই ঘটনা ঘটলে আগামী পুরসভা বা বিধানসভা ভোটে মানুষের কাছে কোন মুখ নিয়ে ভোট চাইতে যাব আমরা। বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসুক রাজ্য নেতৃত্ব।