সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বোলপুরে সবুজপল্লিতে একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুজোর সময় সপরিবারে বাইরে গিয়েছিলেন প্রশান্ত দাস। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি এসে দেখেন তালা ভাঙা। খোয়া গিয়েছে জিনিসপত্র। গত দশমীর দিন পাড়ায় আরও একটি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। এদিন চুরির খবর জানাজানি হতেই বোলপুর থানায় জানানো হয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বোলপুরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধগোড়ার সবুজপল্লিতে প্রশান্ত দাসের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তিনি বোলপুরের বিভিন্ন দোকানে পাউরুটি বিক্রি করেন। জানা গিয়েছে, পুজো চলাকালীন অষ্টমীর দিন প্রশান্তবাবু তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি মুর্শিদাবাদ চলে গিয়েছিলেন। ১২দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরে এসে তিনি চুরির কথা জানতে পারেন। এই ক’দিন তাঁর বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। এদিন তাঁরা দেখতে পান, সমস্ত দরজার তালা ভাঙা। আলমারিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। চারিদিকে সমস্ত আসবাবপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নগদ ১২হাজার টাকা, ৩০টিরও বেশি কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশকিছু সরঞ্জাম খোয়া গিয়েছে। চুরির খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় বোলপুর থানায়। পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস একটি লোহার ভারী রেঞ্চ ও ভাঙা তালা নিয়ে গিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, চোর বা চোরের দল প্রাচীর পেরিয়ে ঘরে ঢোকে। তারপর গ্রিলের তালা নিখুঁতভাবে ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। তবে, কবে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশমীতে পাড়ার আরও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। দশমীর দিন অরুণ মণ্ডল বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে গিয়েছিলেন। একাদশীর দিন ফিরে এসে তিনি দেখতে পান ঘরের দরজা ভাঙা, খোয়া গিয়েছে জিনিসপত্র। অরুণবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ৫০০০টাকা ও কিছু সোনার গয়না চুরি হয়েছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে পাড়ায় ফের চুরি হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বাসিন্দারা। এদিন তাঁরা চুরির ঘটনায় তদন্তে আসা পুলিসকে নিরাপত্তার দাবি জানাতে থাকেন। পুলিসের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, দশমীর দিন বোলপুরে সন্ধ্যার পর থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সুযোগেই চোরের দল দু’টি বাড়িতে চুরি করেছে।
প্রশান্ত দাসের স্ত্রী সুমিত্রা দাস বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম না। বৃহস্পতিবার ঘরে তালা খুলতে গিয়ে দেখি সেটি ভাঙা রয়েছে। চারিদিকে সমস্ত আসবাবপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। প্রতিবছরই পুজোর সময় আমরা সপরিবারে গ্রামের বাড়ি যাই। কোনওবার কিছু হয়নি। এবার চুরি হবে তা বুঝতে পারিনি।