পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষ্ণুপুরে জঞ্জাল সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় ময়লা ফেলা নিয়ে পুরসভাকে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে। তবে মাইক্রো প্ল্যান চালু হলে স্বস্তি পাওয়া যাবে।
পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, শহরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য যা যা করণীয়, সেই বিষয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। মাইক্রো প্ল্যান অনুযায়ী শহরে নিত্যদিন ফেলা সব্জির খোসা, নষ্ট খাবার সহ অন্যান্য পচনশীল বর্জ্য এবং প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব সারে পরিণত করা হবে। অপচনশীল বর্জ্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানসম্মতভাবে করা হবে। এতে একদিকে যেমন শহরে দূষণ কমবে, তেমনই বর্জ্য থেকে উৎপাদিত জৈব সার ও কঠিন পদার্থ পুনরায় কাজে লাগবে। গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে স্যাম্পেল সার্ভে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুর ও নগরান্নোয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি পুরসভায় কঠিন বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে নিষ্কাশনের জন্য একটি মাইক্রো প্ল্যান কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাঁকুড়ার তিন পুরসভাও রয়েছে। তিন শহরে জঞ্জাল পরিষ্কার করে তা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি এজেন্সি নিযুক্ত করা হয়েছে। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় সার্কিট হাউসে রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত তিন পুরসভার আধিকারিকদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিন শহরের কঠিন বর্জ্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে নিষ্কাশন ও তার সুষ্ঠু ব্যবহারের রূপরেখা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। আগামী ৩১ডিসেম্বরের মধ্যে মাইক্রো প্ল্যান অনুযায়ী কাজ শুরু করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তাই এদিন পুরসভায় এবষিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয় যে, শহরের ৬টি ওয়ার্ডে মোট ১২০টি বাড়িতে স্যাম্পেল সার্ভে করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরকে দিয়ে ওই সার্ভে করানো হবে। বিনিময়ে তাঁদেরকে বাড়ি পিছু নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এভাবে গোটা শহরে মোট কতটা পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন সংগ্রহ করা যেতে পারে তার একটা হিসেব পাওয়া যাবে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্যের পুর ও নগরান্নোয়ন দপ্তরে পাঠানো হবে। সেই অনুযায়ী গোটা মাইক্রো প্ল্যান করা হবে।