দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ভোটের দিন ঘোষণা হলেই আমাদেরও প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে। আমাদের অনেকেই প্রার্থী হতে চান। সংসদীয় কমিটি এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের কাজ। খড়্গপুর বিধানসভা ও মেদিনীপুর লোকসভায় আমরা জিতেছি। উপ নির্বাচনেও জিতব। মেদিনীপুর, খড়্গপুরে যত নির্বাচন হবে, আমরাই জিতব। তিনি বলেন, খড়্গপুরে তৃণমূল আবার মাফিয়ারাজ ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু খড়্গপুরের মানুষ তা হতে দেবেন না। আমরা যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি, তা ধরে রাখব।
সংকল্প যাত্রা শুরুর আগে কৌশল্যার মোড়ে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গান্ধীজিকে নিয়ে আমরা সংকল্প যাত্রা করছি বলে অনেকে নানারকম কথা বলছেন। তাঁদের কষ্ট হচ্ছে। আসলে যাঁরা এতদিন গান্ধীজিকে নিয়ে দোকান চালাতেন, ব্যবসা করতেন, তাঁরাই কষ্ট পাচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন তাঁদের ব্র্যান্ড চলে গেল। দিলীপবাবু বলেন, সর্বত্র হিংসার প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তাই গান্ধীজি এখনও প্রাসঙ্গিক। আমরা তাঁকে সামনে রেখে অহিংসার বার্তা দিতে চাই। হিংসা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি চলছে। সমাজকে এর থেকে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এদিন তিনি প্লাস্টিক বর্জনেরও ডাক দেন। জল অপচয় বন্ধ করতে বলেন।
এদিন অবশ্য দিলীপবাবুর নিজের গড়ে সংকল্প যাত্রায় সেভাবে কর্মী জমায়েত হয়নি। সকাল ৮টার জায়গায় যাত্রা শুরু হয় সাড়ে ১০টায়। বাংলোয় হোম সেরে দিলীপবাবু মালঞ্চ এলাকায় যান। সেখান থেকে স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে কৌশল্যা আসেন। সেখানে আদিবাসীরা ধামসা মাদল বাজিয়ে নাচ করে তাঁকে বরণ করে নেয়। সভা শেষ করে দিলীপবাবু যখন যাত্রা শুরু করেন, তখন নেতা ও কর্মীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। যাত্রাপথে অনেক জায়গায় তাঁদের দলের কর্মীরা সংবর্ধনা জানান। মকরামপুরে অবশ্য ভালোই কর্মী জময়েত ছিল।
আজ, শুক্রবার সকালে খড়্গপুর শহরে চা চক্রে মিলিত হওয়ার কথা দিলীপবাবুর। সেখান থেকে আবার লোকসভার অন্তর্গত অন্য বিধানসভা এলাকায় তিনি সংকল্প যাত্রায় যোগ দেবেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কদিন খড়্গপুরে থেকে চা চক্রের মাধ্যমে তিনি জনসংযোগ করতে চান।