গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর বিসর্জন ঘিরে ওই গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা ও সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিস ওই গ্রামে ১৪৪ধারা জারি করে। গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক বাসিন্দাকে। এই ঘটনায় কয়েকদিন আগে গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সালার থানার রায়গ্রামের কাছে পুলিস তাঁকে আটকে দেয়।
এরপর এদিন বেলা ১২টা নাগাদ অধীরবাবু গাড়ি নিয়ে ওই গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই সালারের কলেজ মোড়ে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়। কলেজ মোড়ে অধীরবাবু পৌঁছনো মাত্র তাঁকে আটকান সালার থানার ওসি ইন্দ্রনীল মহন্ত। যার জেরে অধীরবাবুর সঙ্গে পুলিসের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী হাজির হয়ে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অধীরবাবু পুলিসের উদ্দেশে বলেন, তালিবপুর গ্রামে কী এমন ঘটনা ঘটেছে যে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিসর্জন ঘিরে অনেক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোথাও এতদিন ধরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তালিবপুর কাশ্মীর হয়ে গেল? অধীরবাবু আরও বলেন, তালিবপুরের বাসিন্দারা আমাকে দিনরাত ফোন করছেন, কান্নাকাটি করছেন, অসহায়তার কথা বলছেন। তাঁদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অনেকে জানাচ্ছেন। একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সেখানে দেখে আসার প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজনে আমাকে একা যেতে দিন। এরপর ওসি তাঁকে বলেন, আপনাকে যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা এই মুহূর্তে নয়। কবে যেতে পারবেন সেটা পরে জানানো হবে।
এতে অধীরবাবু ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, লড়াইটা পুলিসের বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা পুলিসের মানসিকতার বিরুদ্ধে। কয়েকদিনের মধ্যে ওই গ্রাম থেকে যদি ১৪৪ধারা প্রত্যাহার না করা হয় তারজন্য দায়ী থাকবে পুলিস। আমি নিজে এসে সালার থানা ঘেরাও করব। থানার সামনে অবস্থান-অনশনে বসে যাব।
যদিও এদিন অধীরবাবু সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও বক্তব্য রাখতে চাননি। এব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার বলেন, ওই গ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। কিন্তু কখনও বিজেপি, আবার কখনও অধীরবাবুর মতো লোকজন সেখানে সভা করে মানুষকে তাতাতে চাইছেন। আসলে অধীরবাবু কলকাতা যাচ্ছিলেন। মাঝে সালারে নেমে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছেন।