বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২৯জুলাই কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা করেন। গ্রামস্তর থেকে মানুষের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। আধুনিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের সাহায্যে সাধারণ মানুষ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বা তাঁর অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই প্রকল্পেরই নাম দেওয়া হয় দিদিকে বলো। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ শুরু হওয়ার পর জানা গিয়েছিল, বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০০০-এর বেশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও পার্টিকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে ১০হাজারের বেশি গ্রাম ও শহরাঞ্চলে যাবেন ও জনগণ কীভাবে এই উদ্যোগের সুফল লাভ করবেন সেই বিষয়ে জানাবেন। তারই সঙ্গে একটি টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইটও চালু করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কর্মসূচি অনুযায়ী বীরভূমের মন্ত্রী ও বিভিন্ন নেতৃত্ব গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে শুরু করেন। প্রতি গ্রামপিছু ৩০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২০০টি মোবাইল স্টিকার ও ১০টি টিশার্ট বিতরণ করা হয়। কিন্তু, কিছুদিন চলার পর উৎসবের মরশুম পড়ে যাওয়ায় দিদিকে বলো কর্মসূচিতে ভাটা পড়ে যায়। তাই নতুন উদ্যোগে কর্মসূচি নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ। এদিন তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের ফের যেমনভাবে দিদিকে বলো কর্মসূচি চলছিল তেমনভাবেই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সুদীপ্তবাবু বলেন, অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের নেতা-কর্মীরা অনেক সময় মানুষের কথা শোনেননি বা সম্মান দেননি। এতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দলের অনেকেই একে অপরকে এড়িয়ে চলেন। তিনি আরও বলেন, গ্রামে বুথস্তরের কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাব। যেটা আমরা আগে করতাম। মাঝখানে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। গ্রামের কর্মীর বাড়িতে যে থাকতাম, সেটা থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলাম। সেই জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে। আগে অঞ্চল সভাপতিদের চোখ দিয়ে আমরা গ্রাম দেখেছি। আমরা ভুল করেছি। এবার গ্রামের মানুষের চোখ দিয়ে গ্রাম দেখব। দল ছেড়ে দেওয়া কয়েকজন কর্মী এদিন ফের দলে ফিরে আসেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।