বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হবিবপুর থানার বিজল গ্রামে বছর ২৫-এর ওই যুবতীর বাড়ি। বছর সাতেক আগে তাঁর গলায় ছোট্ট টিউমার দেখা দেয়। টিউমার থাকা অবস্থাতেই তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর টিউমার আকৃতিতে বাড়তে থাকে। পরে তা বিশাল আকার হয়। টিউমারের যন্ত্রণায় প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন তিনি। কোনও কাজকর্ম করতে পারতেন না। টিউমারের কারণে স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। টিউমারের জন্য তাঁর সংসারের স্বপ্ন ভেঙে চুড়মার হয়ে যায়। মালদহের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর চিকিৎসা হয়। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। মালদহ হাসপাতালেও দেখান তিনি। সেখানকার চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেননি। কিছুদিন আগে যুবতীর দিদি ধান কাটার কাজে আউশগ্রামে আসেন। সেখানকার লোকজনকে তিনি বোনের সমস্যার কথা বলেন। তাঁর বোনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো মাস দু’য়েক আগে তিনি বোনকে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। ছয় বোতল রক্ত দেওয়া হয় তাঁকে। পুজোর দিনকয়েক আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হয়। তাতে ঋতম রায় ছাড়াও বিভাগীয় প্রধান গণেশ চন্দ্র গায়েন, অসীম সরকার, শ্রীজিৎ সুর, দেবারতি ছিলেন। অ্যানাসথেটিস্ট হিসেবে ছিলেন ডাঃ জয়ন্ত চক্রবর্তী ও ডাঃ সৌমেন মণ্ডল। বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তিনঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শরীর থেকে টিউমারটি বাদ দিতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। যুবতীর পরিবারের লোকজন জানান, টিউমারের কারণে তাঁর সংসার ভেঙে যায়। স্বামী তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না। এখানকার চিকিৎসকরা তা করে দেখিয়েছেন। চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ।