গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একজনের পক্ষে কি তিনজনকে খুন করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন উঠছে জিয়াগঞ্জে। এই নৃশংস হত্যার পিছনে একাধিক অপরাধী যুক্ত রয়েছে অনেকে মনে করছেন। সাগরদিঘির সাহাপুরের শিক্ষকের মামাবাড়ির প্রতিবেশীদের একাংশ ধৃত উৎপলকে খুনের মূল অভিযুক্ত মানতে নারাজ। এদিকে আদালতে অভিযুক্তকে দেখার পরেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ঘটনার পরে এক যুবককে রাস্তা দিয়ে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখা দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, চেহারার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকলেও এই সেই যুবক কিনা মানতে চাইছেন না অনেকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, খুনে পটু হাতেই তিনজনকে খুন করা হয়। ভাড়াটে খুনি ছাড়া তিনজনকে পরপর খুন করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ দাবি করেছেন, ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। এলাকার এক বধূ বলেন, ভিডিওতে ছেলেটির যে শারীরিক গঠন দেখলাম তাতে ওই ছেলেটির পক্ষে ওই শিক্ষকের মতো বড়সড় চেহেরার মানুষকে একার পক্ষে ঘায়েল করা সম্ভব নয়। একাধিক লোকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
মৃত বিউটি পালের এক আত্মীয় প্রশ্ন তুলেছেন, একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকে খুন করা হল। কেউ কোনও বাধা দিল না, দরজা বা জানালায় কোথাও কোন রক্ত লেগে থাকল না কেন। তবে লেবুবাগানের বাসিন্দা মনোজ পাল বলেন, এলাকায় নৃশংস খুনের ঘটনার পর থেকেই এক সপ্তাহ ধরে আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে ছিলাম। প্রকৃত দোষী গ্রেপ্তার হওয়ায় নিশ্চিত হলাম। আমরা দোষীর চরমতম শাস্তি চাইছি। সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়ান খান বলেন, বন্ধুপ্রকাশ পাল একজন ভালো শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের খুনের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি।