গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে গীতা মণ্ডল প্রাতঃকৃত্য সারতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ তিনি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁর খোঁজ করতে বের হন। তখনই তাঁকে বাড়ির উঠোনে অচেতন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধরাধরি করে সকলে তাঁকে তুলে আনার পর মাথার পিছনে গভীর ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান। বাড়ির লোকেরা তখন লাভপুর থানার পুলিসকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিস এসে দ্রুত তাঁকে লাভপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর পুলিস মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে পড়ে গিয়ে মাথায় জোরালো আঘাত পেয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতার জন্য তিনি অজ্ঞান হয়ে যেতেন।
মৃতার ছেলে তারাশঙ্কর মণ্ডল বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, তা সঠিকভাবে বুঝতে পারছি না। মাথার পিছনের ক্ষত চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে কেউ মাকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেছে। তাই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলেও মনে হচ্ছে। সমস্ত বিষয় পুলিসকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখছে। আমরা পরিবারের সকল সদস্যরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য সামনে আসুক।
লাভপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, এবিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। যদি খুন হয়ে থাকে, তাহলে পুলিস তদন্ত করে দেখবে। দোষী ব্যক্তি অবশ্যই সাজা পাবে।