রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, স্টিল টাউনশিপের জেসি বোস বস্তি এলাকার বাসিন্দা যুবক অজয় দাসের(২৪) সিটি সেন্টারে একটি চায়ের দোকানে ছিল। রবিবার সকালে ওই দোকানের ভিতর থেকে যুবকের গলায় ইলেক্ট্রিক তার জড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যুবকের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে এলাকার এক মহিলা খুন করেছে। সঠিক তদন্তের ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিটি সেন্টার ফাঁড়ি ঘেরাও করে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত মহিলার ওপর চড়াও হয়। তড়িঘড়ি দুর্গাপুর থানার পুলিস এসে জনরোষ থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই মহিলার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছাড়া হয়। ফের মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সোমবার রাতে দুর্গাপুর থানা ঘেরাও করে ওই মহিলার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে বছর ৪০-এর ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে যুবকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে বচসা থেকে ওইদিন রাতে যুবকের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। যুবককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় মহিলা। এমটাই দাবি করেন অজয়ের পরিবারের লোকজন। মৃতের বাবা অশোক দাস বলেন, অজয় শনিবার সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যায়। এর পরেই প্রতিবেশী মহিলা সুনীতিদেবী মিশ্রর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। মহিলার স্বামী সহ পরিবারের লোকজন তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর পরেই অজয় দোকানের চাবি নিয়ে দোকানে চলে যায়। সারারাত বাড়ি না ফিরলে সকালে সিটি সেন্টারের দোকানে গিয়ে দেখি অজয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আমাদের অনুমান ওই মহিলা ও তার স্বামী সহ দু’জন মিলে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। আমি ছ’জনের নামে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।