বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ওই শিশুর এক প্রতিবেশী বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এলাকায় কোথাও জমা জল থাকে না। রাতে ওরা মশারি টাঙিয়ে শুতে যায়। সব রকম সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও ওর কীভাবে ডেঙ্গু হল বুঝতে পারছি না। সুজাতা ছাড়াও আমাদের গ্রামের আরও কয়েকজনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়েছে। এদিকে, সুজাতার মৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। অন্যদিকে, মৃত শিশুর বাবা গৌরাঙ্গ রায় বলেন, হাসপাতালের ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসক শেষ মুহূর্তে মেয়ের মুখে অক্সিজেন দিয়েছে। আমি চাই চিকিৎসকদের গাফিলতি ছিল কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হোক। যদিও রানাঘাট হাসপাতালের সুপার শ্যামলকুমার পোড়ে জানিয়েছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। অন্যদিকে, জেলার উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) অসিত দেওয়ান বলেন, ঘটনাটা আমি শুনেছি। পরিবারের লোক প্রথমে শিশুটিকে আড়ংঘাটার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তখনই চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু, পরিবারের লোকজন অনেক দেরি করে সন্ধ্যায় নিয়ে এসেছিলেন।
সুজাতা স্থানীয় মাঠপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করত। সে প্রায় দিন পাঁচেক ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষায় তার এনএস পজিটিভ পাওয়া যায়। সুজাতার জ্যাঠা মধুমঙ্গল রায় বলেন, ওকে নার্সিংহোমে ভর্তি করার সময়টুকুও পাওয়া যায়নি। তার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাধব বিশ্বাস বলেন, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ডেঙ্গু নিয়ে নিয়মিত প্রচার চালানো হয়। মাইক নিয়ে এলাকায় প্রচার করা হয়েছে। ওই এলাকায় কোনও জমা জল নেই। ছোট্ট মেয়েটার এই পরিণতিতে আমরা মর্মাহত।