কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শালবনী ব্লকে ২৩টি হাই স্কুল রয়েছে। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এই ক্লাস নেওয়া হবে। পুলিস আধিকারিকরা তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ছাত্রছাত্রীদের কাছে বলবে। পুলিসের পোশাকেই তাঁরা ক্লাস নেবেন বলে ঠিক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করা হবে। একটি দুর্ঘটনা পরিবারে কতটা অনটন এনে দিতে পারে, তা চোখের সামনে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সতর্ক করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনই একশ্রেণীর মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কত মানুষকে প্রতারণা করছে, তাও জানানো হবে। কী করে মোবাইলে মিসড কল দিয়ে আলাপ জমিয়ে বহু মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তা বোঝানো হবে। এই ধরনের মিসড কল এলে পুলিসের সাহায্য নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের কাছে পুলিসের একটি নির্দিষ্ট নম্বরও দেওয়া হবে।
শালবনী থানার এক আধিকারিক বলেন, মেয়েদের স্কুল এবং কো-এড স্কুলকে আমরা প্রাধান্য দেব। স্কুলগুলিতেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস নেওয়া হবে। প্রতারকদের খপ্পরে যাতে তারা না পরে, তার জন্য পাঠ দেওয়া হবে। কেউ প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে গেলে কী করবে সেই বিষয়ে সচেতন করা হবে। বাল্যবিবাহ হলে কী কী সমস্যা হয়, সেই বিষয়গুলিও তুলে ধরা হবে। কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিসকে জানানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা তাদের বোঝানো হবে। আমরা যদি এই থানা এলাকার স্কুলগুলিতে নিয়ম করে এই ধরনের ক্লাস নিতে পারি, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের এই সব বিষয়ে অনেকটাই সচেতন করা যাবে।
শালবনীর জেলা পরিষদের সদস্য তথ্য ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিং বলেন, আমাদের এই এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। তারা খুব সহজ সরল হয়। নতুন প্রজন্মকে এভাবে সচেতন করা হলে খুব ভালো হবে। পুলিসের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরাও চাই, নতুন প্রজন্ম এই বিষয় নিয়ে অনেক সচেতন হোক।