পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কাশিমনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনবহুল এলাকায় অবৈধভাবে আইসক্রিমের কারখানা চালানো হচ্ছিল। পুলিস জানিয়েছে, কারখানার মালিক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কারখানার সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন না করেই অন্য সিলিন্ডার থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস রিফিলিং করা হচ্ছিল। সেইসময় আচমকা সিলিন্ডারটি ফেটে যায়। প্রচণ্ড শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। আশপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসেন। দুই প্রত্যক্ষদর্শী তোতা শেখ ও এসএম সইবুর সুলেমান বলেন, সকালে মোড়ে চা খেতে এসেছিলাম। হঠাৎ পাশের কারখানা থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে গিয়ে দেখি সকলে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে। ধুলুবাবু ও কামিরুলকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই ধুলুবাবু মারা যান। ফেটে যাওয়া সিলিন্ডারের টুকরো ছিটকে এসে কামিরুলের মাথায় ঢুকে যায়। বুকেও আঘাত লাগে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুরে। তিনি আইসক্রিম তৈরির শ্রমিকের কাজ করেন। কারখানার মালিক লুৎফুর রহমানও সামান্য জখম হন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃত কর্মীর এক আত্মীয় লতিব বিশ্বাস বলেন, বহুদিন থেকে কারখানার মেশিন সারাইয়ের কাজ করেন। মেশিনে সারাইয়ের জন্য সোমবারই তিনি এখানে আসেন। সিলিন্ডার ফেটে তিনি মারা গিয়েছেন বলে এদিন সকালে ফোনে খবর পাই।