কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্তার সাহেবরা দুই ভাই ও সাত বোন। ছোটবেলায় শুক্তার সাহেবের বাবা হাসমত আলি মারা যান। তারপর আর্থিক অনটনে সংসার কোনওরকমে চলত। তাই পেটের টানে স্বনির্ভর হতে তিনি বাড়ি ছাড়েন। কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যেও চলে যান। তারপর দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই বিয়ে হয়। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া হলেও কোনওদিন আর ফেরেননি। অবশেষে ছেলে-মেয়ের চাপে রবিবার বিকেলে হঠাৎই বছর বছর ৫০-এর শুক্তার সাহেব গ্রামে আসেন। তাঁর বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা দেখতে আসেন। ওই রাত থেকেই বাড়িতে সবাই মিলে খাওয়ার-দাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে।
শুক্তার সাহেব বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর বাড়ি ছেড়েছিলাম। মায়ের মৃত্যতেও আসতে পারিনি। গ্রামে দাদা রয়েছেন। চাষাবাদ করে তিনি নিজের সংসার চালাচ্ছেন। তাই নিজের জন্য আলাদা কিছু করার কথা ভেবে কাজে চলে যাই। বর্তমানে দুর্গাপুরে ফেব্রিকের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ছেলে-মেয়েরা গ্রামের বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করেছিল। কিন্তু আসা হয়নি। বর্তমানে এনআরসি নিয়ে নানা রকম কথা হচ্ছে। তাই কাগজপত্রের বিষয়টিও দেখা হবে ভেবে গ্রামে ফেরে এসেছি। যদি কোনও দিন কাগজের প্রয়োজন হয় চলে আসব।
শুক্তার সাহেবের ছেলে নওসাত আলি বলেন, বাবাকে জিজ্ঞাসা করতাম গ্রামের বাড়ির কথা। তিনি বলতেই আমরা এখানে আসার পরিকল্পনা করি। গ্রামের বাড়ি আসতে পেরে ভালো লাগছে। এনআরসি নিয়ে দুর্গাপুরে সেরকম কোনও সমস্যা নেই। এখানে অবশ্য তা রয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা আজাদুল ইসলাম বলেন, শুক্তার সাহেব প্রায় ৩৫ বছর পর গ্রামে ফেরায় রবিবার রাত থেকে ঢালাও খাওয়ার আয়োজন হয়েছে। তাঁর পরিবারের আত্মীয়রা দেখা করতে এসেছেন। এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক থাকায় নানারকম কাগজপত্রের খোঁজও নিয়েছেন।