পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সুপার দাবি করেন, বিমার ২৪ হাজার টাকা নিয়ে গোলমালের জেরেই, আক্রোশবশত উৎপল বেহেরা নামে এক যুবক একাই সামান্য সময়ে তিনজনকে খুন করেছে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিউটির ভাই সাক্ষীগোপাল মণ্ডল। তিনি বলেন, ২৪ হাজার টাকার জন্য এই নৃশংস খুন হতে পারে না। তাছাড়া একজনের পক্ষে তিনটি খুন করা কখনই সম্ভব নয়। পুলিস বলছে, ধৃত উৎপল বেহেরার ডাকে দরজা খুলতেই প্রথমেই জামাইবাবুকে কোপ মারে। সেখানেই পড়ে যান জামাইাবাবু। কিন্তু, দরজার কাছে কোনও রক্তের দাগ ছিল না। তাঁর দেহ বিছানায় কী করে এল? টেনে নিয়ে এলে মেঝেতে রক্তের দাগ থাকবে। সেটাও ছিল না। পুলিস সুপার বলছেন, এরপর ভিতরের ঘরে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকা দিদিকে একইভাবে কোপানো হয়। তাঁর দেহই বা বিছানায় কেমন করে এল? পুলিস বলছে ওই বাড়ি থেকে কিছু খোয়া যায়নি। তাহলে বোনের বাড়িতে থাকা ১৩ভরি সোনার গয়না কোথায় গেল? পুলিস বলেছিল, বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় আমাদের ডাকা হবে। সেটাও করা হল না। পুলিস সুপারের বক্তব্যে রহস্য রয়েছে। এটা আমাদের কাছে ধোঁয়াশা লাগছে। সত্য ঘটনাকে আড়াল করে কাহিনী শোনানো হচ্ছে। আমরা প্রকৃত তদন্তের দাবিতে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হব।
মৃতার বাবা সুখেন মণ্ডল বলেন, পুলিসের তদন্তে আমরা খুশি নই। একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত। সিবিআই-ই পারে এই খুনের রহস্য ভেদ করতে। মৃত গৃহবধূর বড় মামা তথা তৃণমূলের কুসুম্বা অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি জহর ঘোষ বলেন, এটা তদন্তের নামে পরিহাস। এটা তো সিনেমার পর্দার অমিতাভ বচ্চন বা প্রসেনজিৎ নন, যে একাই দশজনকে মেরে ফেলবে। তাঁর দাবি, পারিবারিক বিষয় সম্পত্তি, অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের জেরেই এই খুন। সিবিআই তদন্ত হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বিউটির দাদু বাদল মণ্ডল বলেন, বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ওরা এখানে এসেছিল। পাড়ার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার সময় বিউটির ছেলে বলছিল, আমাদের কেটে দেবে বলছে। আমি সেটা শুনে হাসিঠাট্টার ছলে বলেছিলাম, লাঠি মেরে সবকে উড়িয়ে দেব। কিন্তু, তখন ওর কথার আমল দিলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না। বিউটির মামাতো ভাই বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, একজন রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়ে জামাই অসন্তুষ্ট ছিল। ফোনে তাঁকে সেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। সেই রাজমিস্ত্রি এই খুনে জড়িত থাকতে পারে, তবে তাঁর একার পক্ষে তিনটি খুন সম্ভব নয়। গ্রামবাসীদেরও একই বক্তব্য।