বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় এবং পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা প্রায় একবছর আগে সাহেব বাঁধের একাংশে শিকারাতে ভ্রমণের পরিষেবার সূচনা করেন। সেই সময় থেকেই সাহেব বাঁধের পরিবেশ এবং পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরে পুরসভার পক্ষ থেকে শিকারা পয়েন্টকে বিপুল টাকা খরচ করে সুসজ্জিত করে তোলা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য বসার শেডও ছিল। সম্প্রতি, ওই শেডেই একটি বেসরকারি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। শিকারা পয়েন্টের অধিকাংশই জায়গায় ওই রেস্টুরেন্টের দখলে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ সরকারি টাকা খরচ করে সুসজ্জিত ভ্রমণের জায়গা কেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবিষয়ে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার বিভাসরঞ্জন দাস, দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় এবং সিপিএম কাউন্সিলার মিতা চট্টোপাধ্যায় ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিভাসবাবু বলেন, প্রস্তাবিত জাতীয় সরোবরে এভাবে রেস্টুরেন্ট খোলা যায় না। বিষয়টি মহকুমা শাসককেও জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যানকেও ফোন করা হয়েছে। তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। রেস্টুরেন্টের ব্যবহৃত জল সাহেব বাঁধেই ফেলা হচ্ছে। পুরবোর্ডকেও অন্ধকারে রেখে একাজ কীভাবে হল বুঝতে পারছি না।
যদিও চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান বলেন, সব কিছু নিয়ম মেনেই ওই রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুরবোর্ডেরও অনুমোদন রয়েছে। যেসব কাউন্সিলার বলছেন এবিষয়ে জানেন না, তাঁরা নিশ্চয় বোর্ড মিটিং ভালো করে শোনেন না। পরিবেশের কোনও ক্ষতি এতে হবে না। ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে ওই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চায়নি।