বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় পুলিস পৌঁছয়। এলাকা শান্তিপূর্ণ রেয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্য়ন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ জমা পড়লে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিলখাঁ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শাসক দলের ওই কার্যালয়টি ছিল। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এবিষয়ে ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের হায়দার শেখ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এর আগেও আমাদের ওই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। কিন্তু এদিন রাতে পার্টি অফিসটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা সিলিং ফ্যান, টিভি, আলমারি সহ অন্যান্য আসবাবপত্র সবকিছুই ভেঙে দিয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। ওদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা নেই। তাই হিংসার পথ বেছে নিয়েছে। পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে, গত রবিবার খানাকুলের মাজপুরের পূর্ব খাঁ পাড়াতেও এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে ওইদিন অশান্তির শুরু হয়। এরপর এলাকায় বোমাবাজিও হয়। এনিয়ে রবিবার রাত থেকে তাঁতিশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এরপর ফের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও বোমাবাজির ঘটনায় নতুন করে খানাকুলের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খানাকুল-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। জানা গিয়েছে, ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৪টি বুথ ও ১২টি গ্রাম সংসদ রয়েছে। এই পার্টি অফিস থেকেই পঞ্চায়েতের সাতটি বুথের নিয়ন্ত্রণ করত শাসক দলের নেতৃত্ব। কিন্তু লোকসভার ফলপ্রকাশের পর তৃণমূল থেকে স্থানীয় কিছু নেতৃত্ব বিরোধী শিবিরে যোগদান করেন। যদিও যোগদানের কয়েক মাস পরে তাঁরা আবারও শাসক দলে ফিরেছেন। এরপর থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটতে থাকে বলে শাসক দলের দাবি।
এ ব্যাপারে খানাকুল-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ বাগ বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার কারণেই ওরা এভাবে আমাদের উপর আক্রমণ করছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন ওদের সঙ্গে নেই। তাই আমাদের দমিয়ে রাখার জন্য রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও বোমাবাজি করেছে।
যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খানাকুল-১ ব্লকের ৪৩ জেডপির বিজেপি সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মাজি। তিনি বলেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী লোকসভা নির্বাচনের পর নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই কারণে প্রায় ভগ্নদশায় থাকা ওই পার্টি অফিস কার দখলে থাকবে, তার জন্য নিজেদের মধ্যে চলতে থাকে চাপানউতোর। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজনই ওই পার্টি অফিস ভেঙে বিজেপির নামে মিথ্যা দোষারোপ করছে। আমরা চাই পুলিস নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্ত করুক। তবেই সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। আরামবাগ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমরা কখনও সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। অন্য দলের কার্যালয় দখল করা কিংবা ভেঙে দেওয়া বিজেপির সংস্কৃতি নয়। নিজেদের মধ্যে অশান্তি করেই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর রাজনৈতিক মুনাফা লোটার জন্য বিরোধী হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে। মানুষ ওদের রাজনীতি ধরে ফেলেছে।