বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমরশঙ্করবাবুর ছেলে দেবরাজ অন্যান্য দিনের মতোই বাঁকুড়ার পোয়াবাগান এলাকায় পড়তে গিয়েছিল। ছেলের টিউশনি পড়া শেষ হওয়ার পর তাকে বাইকে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অমরশঙ্করবাবু। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। কাশিবেদিয়ার কাছে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির সঙ্গে তাঁর বাইকের সংঘর্ষ হয়। নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরে তিনি বাইক নিয়ে সজোরে লরিটিকে গিয়ে ধাক্কা মারেন। ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়ে বাবা ও ছেলে। দু’জনেই গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক অমরশঙ্করবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসার আগেই চালক লরিটি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমরশঙ্করবাবুর দুই ছেলের মধ্যে দেবরাজ বড়। সে স্থানীয় পোয়াবাগান হাইস্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। অন্যদিকে, তার ছোট ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ছে। মৃতের এক বন্ধু হীরালাল কুণ্ডু বলেন, স্থানীয় একটি ইটভাটার ম্যানেজার ছিল অমরশঙ্কর সোরেন। ওইদিন ইটভাটার কাজ সেরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে দুঘর্টনা ঘটে গেল। অন্যদিকে, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে অমরশঙ্কর সোরেন এই দলে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।