কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বিমার রসিদ দেওয়ার জন্য অনেকেই প্রকাশবাবুকে চাপ দিতেন। তিনি হাসি মুখে তা এড়িয়ে যেতেন। শিক্ষক হওয়ায় অনেকেই তাঁর প্রতি ভরসা করে বিমা করেছিলেন। কিন্তু রসিদ না পেয়ে অনেকেই তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। অভিযুক্ত যুবকও তাঁকে রসিদ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তিনি তা না দেওয়ায় তাঁর পরিবারে এমন মর্মান্তিক পরিণাম নেমে আসে।
পুলিসের দাবি, মৃত শিক্ষক প্রায়দিনই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন করতেন। তিনি শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত থাকলেও বেশিরভাগ সময় ব্যবসার কাজেই ব্যয় করতেন। দিনের অধিকাংশ সময় ফোনে তিনি ব্যবসার কথা বলতেন। এমনকী স্কুলে গিয়েও তিনি ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। সাগরদিঘির ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক পুলিসকে জানিয়েছেন, ক্লাস নেওয়ার সময়ও তাঁর ফোন আসত। সেসময় তিনি ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে এসে ফোনে কথা বলতেন। পুলিস মৃতের পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, সব সময়ই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন প্রকাশবাবু। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি ক্ষতির মুখেও পড়েছেন। রামপুরহাটের এক ব্যবসায়ীকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকাও উদ্ধার করতে পারছিলেন না। তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি চাপে ছিলেন। পুলিস মৃতের স্ত্রী বিউটির মোবাইল থেকে জানতে পেরেছে, তিনিও মেসেজ করে টাকা ফেরতের কথা রামপুরহাটের ওই যুবককে বলতেন। কিন্তু ওই যুবক নানা অজুহাতে সব কিছু এড়িয়ে যেত। প্রকাশবাবুর এক আত্মীয় বলেন, চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকে তাঁর ব্যবসার প্রতি ঝোঁক ছিল। রামপুরহাটের ওই যুবক তাঁকে ২০০৪সাল থেকে ব্যবসায় নামিয়েছিল। স্কুল ছুটি থাকলেই বিমা করানোর জন্য বেরিয়ে পড়তেন। তবে তাঁর লাইফস্টাইল খুব উচ্চমানের ছিল এমনটা নয়। সাধারণভাবেই জীবন যাপন করতেন। কিন্তু সব সময় ধনী হওয়ার চেষ্টা করতেন। শিক্ষকতা করে তিনি যে টাকা বেতন পান তাতে তাঁদের তিনজনের সংসার খুব ভালোভাবেই চলে যেত। তারপরেও তিনি কেন এত বেশি ঝুঁকি নিয়েছিলেন সেটা বোঝা যায়নি। রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন না দেখলে হয়তো তাঁর জীবনে চরম এই পরিণতি নেমে আসত না।