কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় বাড়ছে পরিত্যক্ত খাদান থেকে কয়লা চুরির ঘটনা। সেই কাজ করতে গিয়েই তলিয়ে গিয়েছে এই তিনজন। সোমবার রাত পর্যন্ত মাইন রেসকিউ টিম কাজ করলেও তাদের উদ্বার করা যায়নি। পুলিস ক্যাম্প করে এলাকার উপর নজর রাখছে।
যদিও স্থানীয় কাউন্সিলার নেপাল চৌধুরী কয়লা চুরির বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, এক যুবক কোনও কারণে খাদানের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে আরও তিনজন গেলে তাঁদের মধ্যে দু’জনও ওই গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যান। গর্তের যা পরিসর তাতে কয়লা চুরি করা কার্যত অসম্ভব বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে ওই এলাকায় কয়লা উত্তোলন হলেও বহু বছর ধরে খাদানটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত খাদান এলাকা থেকেই ফের রমরমিয়ে শুরু হয়েছে কয়লা চুরি। রীতিমতো গজিয়ে উঠছে অবৈধ ব্যবসা। রবিবার সন্ধ্যা থেকে ওই গ্রামেরই মাঝিদের তিনজন খাদানের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাঁরা হলেন, সন্তোষ মারান্ডি, বিনয় মুর্মু ও কালীচরণ কিস্কু। পুলিসকে খবর দেওয়া হলে পুলিস ঘটনাস্থলে আসার পাশাপাশি মাইনস রেসকিউ টিমকেও খবর দেয়। তারাও অভিযান শুরু করে। কিন্তু গর্তের ভিতর অক্সিজেন কম থাকায় এবং অন্য গ্যাসের প্রাধান্য থাকায় গর্তের ভিতর ঢুকতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। সোমবার দিনভর চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা যায়নি। জঙ্গল ঘেঁষা এই আদিবাসী পাড়ায় এই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া। তবে এই ঘটনার ফের প্রকাশ্যে আনল শিল্পাঞ্চলে কয়লা চুরির রমরমা। যদিও কোনও অভিযোগ না হওয়ায় পুলিস কোনও মন্তব্য করেনি। উদ্ধারকারী দলের প্রধান সত্যব্রত সরকারও বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।