কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দশমীর সকালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল সহ তাঁর পুরো পরিবার। ঘটনার জেরে উত্তাল হতে থাকে রাজ্য রাজনীতি। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। আর তাতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিস প্রশাসন। তদন্ত চলাকালীন বিভিন্ন বিষয়ে সূত্র মিলতে থাকে। বিভিন্ন দিক থেকে মৃত দম্পতির এক বন্ধুর নাম উঠে আসে। খুনের ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত। কী উদ্দেশ্যে এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু পরে পুলিস ও সিআইডির তদন্তকারী দল। তদন্তে উঠে আসে রামপুরহাটের বাসিন্দা এক যুবকের নাম। সে মৃত বন্ধুপ্রকাশবাবু ও তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডলের বন্ধু। ওই যুবকের বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত ছিল। সেই সমস্ত জায়গায় যায় পুলিস।
তদন্তে জানা যায় শান্তিনিকেতনের সীমান্তপল্লিতে বসবাসকারী এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। সেইমতো রবিবার রাতে সিআইডি ও মুর্শিদাবাদ পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসেন। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৬ সালের মে মাসে ওই যুবকের সঙ্গে দেখাশোনা করে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু মাত্র তিন বছর পরে ২০০৯ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেছেন, ওই যুবক তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করত। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে সন্দেহ করত। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় তিনি জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকদের। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই বন্ধু-বান্ধবদের কাছে টাকা ধার নেওয়ার একটা প্রবণতা ছিল প্রাক্তন স্বামীর। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছেন গোয়েন্দারা।
সন্দেহভাজন ওই যুবকের প্রাক্তন স্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে বিচ্ছেদের পর আর যোগাযোগ করেনি ওই যুবক। তাদের দু’জনের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সেই কন্যার দায়িত্বও কোনওদিন পালন করেনি। এই সমস্ত বিষয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। তবে, খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর কোনওরকম যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে অবশ্য কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি ওই মহিলা।